কর্মকর্তাদের শয্যাসঙ্গিনী না হলে দলে জায়গা নাই

চলচ্চিত্রাঙ্গনের কিছু অসাধু নায়িকা এবং প্রযোজকদের নিয়ে মাঝে মাঝে এমন খবর বের হয়। বিভিন্ন টেলিভিশনের অনুসন্ধানেও এমন অনেক ভিডিও দেখা গেছে। যমুন টেলিভিশনের অনুসন্ধানি অনুষ্ঠান ৩৬০ ডিগ্রিতে এর আগে দেখানো হয়েছে নায়িকা বানানোর কথা বলে কীভাবে মেয়েদের সঙ্গে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়া হয়।

তবে মিডিয়ার বাইরেও যে এসব অনৈতিক কাজ চলে তা এবার ফাঁস করলেন ভারতের এক নারী ফুটবলার। ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সোনা চৌধুরীর ভাষ্যমতে শুধু প্রতিভা দিয়ে দলে সুযোগ পাওয়া যায় না। দলে সুযোগ পেতে হলে টিম ম্যানেজমেন্টের লোকদের মনোরঞ্জন করতে হয়। তাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হয়। জাতীয় দলে জায়গা পেতে হলে কর্মকর্তাদের শয্যাসঙ্গিনীও হতে হয়।

সোনা চৌধুরী তার ‘গেম ইন গেম’ বইটিতে ভারতীয় নারী দলের এই অন্ধকার দিকটি তুলে ধরে দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। বইটিতে সোনা লিখেছেন, যখন জাতীয় দলের দেশের বাইরে কোনো খেলা থাকে তখন কোচ ও সচিব নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে একই কক্ষে থাকেন। প্রতি রাতেই কোনও না কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তা না হলে দলে খেলার সুযোগ পাওয়া যায় না।

১৯৯৫ সালে জাতীয় দল অভিষেক হয় সোনা চৌধুরীরর। ৯৬ সালে তিনি অধিনায়ক নির্বাচিত হন। পায়ে চোটের কারণে ১৯৯৮ সালেই শেষ হয়ে যায় ক্যারিয়ার।

৪ thoughts on “কর্মকর্তাদের শয্যাসঙ্গিনী না হলে দলে জায়গা নাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *