ঢাকা: সাকিব আল হাসানের জ্বলে উঠার রাতে হারতে হলো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর)। এবারের আইপিএলে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। রোববার খাদে পড়া কেকেআরকে টেনে তুলেছেন সাকিবই। খেলেছেন হার না মানা অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস। তারপরও সাকিবের দল ৫ উইকেটে হেরে গেছে গুজরাট লায়ন্সের কাছে। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ফের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো গুজরাট। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে কেকেআর আরও এক ধাপ নিচে তিন নম্বরে চলে গেলো। কয়েক ঘন্টার জন্য শীর্ষস্থানে পৌঁছা মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নেমে গিয়েছে দুই নম্বরে।
এদিন কেকেআরের ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ডুয়েন স্মিথ। ৫.৩ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ৪২ রান। স্মিথ ১৮ বলে চার বাউন্ডারী, এক ছয়ে ২৭ এবং ম্যাককালাম ২৪ বলে তিন চার, দুই ছয়ে ২৯ রান করে ফিরে গেলেও তাদের দেখানো পথেই হাঁটতে থাকেন দিনেশ কার্তিক। ২৯ বলে আট চার, এক ছয়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সেরেছেন অ্যারণ ফিঞ্চ ১০ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে।
ব্যাট হাতে সফল সাকিব বল হাতে ছিলেন বেশ খরুচে। ৩ ওভারে ৩৮ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ১টি উইকেট। ব্রাড হগ ১৯, আন্দ্রে রাসেল ২১ এবং পিযুষ চাওলা ৩০ রান দিয়ে পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এরআগে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কেকেআরের শুরুটা হয়েছিল চরম হতাশার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে (৫) হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ওই ওভারেই মণিশ পান্ডে কোন রান না করে ফিরে গিয়ে চাপটা আরও বাড়িয়ে দেন। গম্ভীরকে বোল্ড আর পান্ডেকে দিনেশ কার্তিকের ক্যাচে পরিণত করেন ভারতীয় দলে ব্রাত্য প্রবীণ কুমার।
১৫ রানে ২ উইকেট হারানো কেকেআরকে বিপদে ফেলে ২১ রানে ফিরে যান রবিন উথাপ্পা (১৪)। এরকম পরিস্থিতিতে কোথায় দলের হাল ধরবেন তা না উল্টো ডুয়েন স্মিথের বলে রায়নার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন সুরাইয়া কুমার যাদবও (৪)। ২৪ রানে টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে আর কী থাকে! তারপরও কেকেআরের স্কোর ১৫৮ রান পর্যন্ত গিয়েছে সেটা বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং ইউসুফ পাঠানের পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ১৩৪ রানের সৌজন্যে।
এদিন আইপিএলে নিজের সেরা ইনিংস খেলেছেন সাকিব। সাকিব বুঝিয়ে দিয়েছেন উপরের দিকে নিয়মিত ব্যাট করার সুযোগ পেলে বড় স্কোর গড়া সম্ভব। তার ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস তো সেটাই প্রমাণ করে। চার বাউন্ডারীর সঙ্গে ছয় মেরেছেন চারটি। কম যাননি ইউসুফও। তিনি ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ৪১বল খেলে। সাত চারের সঙ্গে ছয় মেরেছেন একটি।
প্রবীণ কুমার প্রমাণ করেছেন তিনি এখনও বাতিলের খাতায় চলে যাননি। চার ওভার বল করে এক মেডেনসহ তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেট। এছাড়া স্মিথ ১৪ এবং ধাওয়াল কুলকার্নি ৩০ রানে পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কার প্রবীণ কুমার পেয়েছেন ম্যাচসেরা হয়ে।
MD Sabbir Sun liked this on Facebook.