রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি

রবীন্দ্রনাথ ঠিক বলেছিল – সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি
রবীন্দ্রনাথ নিজেও মানুষ ছিলোনা। তাই মানুষের খোঁজে বিলাত গেছিল। মানুষের খোঁজে বিলাতের সাহেবদের অভিষেকের জন্য গান রচনা করেছিল।
জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে
ভারত ভাগ্যবিধাতা
১৭৫৭ সালে রবীন্দ্রনাথের কথিত ভারত ভাগ্যবিধাতারা এসেছিল সুদূর ইংল্যান্ড থেকে। এরাই ছিল আসল মানুষ।

১৭৫৭ -১৮৫৮ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ছিল রবীন্দ্রনাথের “মানুষ” যারা এই উপমহাদেশে লুটপাট করে।
১৮৫৮-১৯৪৭ – বৃটিশ রাজ ছিল রবীন্দ্রনাথের “মানুষ” যারা বাদবাকী লুটেপুটে যখন সব ফতুর হয়ে যায় তখন এদের  হাতে ভিক্ষার থালা, ঘৃণা,  সাম্প্রদায়িকতা  ধরিয়ে দিয়ে শারিরিকভাবে এই উপমহাদেশ ত্যাগ করলেও পেছনে ফেলে রেখে যায় তাদের বীর্যের সন্তান “ডিভাইড এন্ড রুল” — “বিভাজন এবং শাসন”।

রবীন্দ্রনাথের প্রিয় বৃটিশ রাজের তোষামোদে দিন রাত সব মোসাহেবেরা ব্যস্ত থাকতো । বাঙ্গালীরে মানুষ মনে হবার কথা না। কারণ বাঙ্গালী হইলঃ কুকুর শেয়াল ছাগল ভেড়া গরু। এইসব কুকুর শেয়ালেরা এখন শুধু কামড়াকামড়ি করে দিনরাত। পূর্ব বাংলা, কাশ্মীর, পাকিস্তান আর ভারতের জাতপাত ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িকতা সবই রবীন্দ্রনাথের “মানুষ” বৃটিশরাজের উদ্ঘাটন। বৃটিশরাজ এই উপমহাদেশে জাগিয়ে তুলেছিল এই উপমহাদেশের মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা সুপ্ত কুকুর, বেইমান, পদলেহনকারী, মোসাহেব চরিত্র। এই চরিত্রগুলো এখনও খেলাধুলা করে আর ডাউনিং স্ট্রিটে যেয়ে পায়ের ধুলা নিয়া আসে মাঝে মাঝে। এই উপমহাদেশের কুকুর, বেইমান, মধ্যস্বত্বভোগী,মোসাহেব, হিংস্র দ্বিপদ পশুরা সব এখনো সাহেবদের পদযুগলে চুম্বন করে দেশের মানুষ ও সম্পদ সব পাচার করে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুট  করে সাহেবদের দেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের শ্রেনীভেদাভেদ,শ্রেনী ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে কেউ লেখালেখি করেনি কোনদিন। কারণ বেশিরভাগ লেখক এবং ইতিহাসবিদেরা হয় মোসাহেব শ্রেনী। যারা ক্ষমতাবান ও পুঁজির মালিক তাদের তোষামোদ করেই লেখক ও ইতিহাসবিদেরা জীবিকা নির্বাহ করে ফলে এরা লিখেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এই উপমহাদেশের কুকুর, শেয়াল, ভেড়া, গরু, ছাগলদের মাঝে সভ্যতা নিয়ে আসে, লুটপাটের কথা কোথাও উল্লেখ নাই। রবীন্দ্রনাথ বিলাতে যায় । রবীন্দ্রনাথ বিলাত থেকে ফিরে আসে। প্রজাদের কাছ থেকে লুট করা জমি ইংরেজদের জন্য ছেড়ে দেয় রবীন্দ্রনাথের পরিবার, সেখানে ফোর্ট তৈরি হয়। রবীন্দ্রনাথে ফিটন গাড়িতে চড়ে ইংরেজ বাহাদুরের ফোর্ট দেখতে গেলে সেখানে এক দেহরক্ষী রবীন্দ্রনাথেরে দেখে উলটে পড়ে, ইত্যাদি কাহিনী লেখা হয়েছে। ভাবছি এইখানে ক্ষুদিরামের কি ভূমিকা ছিল?

স্বদেশী আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা??? ইতিহাসবিদ ও লেখকেরা নিশ্চুপ।
স্বদেশী আন্দোলন বলে কোন আন্দোলন ছিলনা। যেমন আওয়ামীলীগ মানেই ইসলাম, মার্কসবাদ, ভারতের রাজ্য সরকার। একই দল মাল্টিদর্শন দিয়া ভারতের সেবা ও বাংলাদেশের জনগণের উপরে স্বৈরাচার চালাচ্ছে। এই ইতিহাস লেখার জন্য কারুকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, একাত্তুরের গনহত্যা, ভারতের সাথে মৈত্রি চুক্তি, ফারাক্কা চক্তি, এইসব সম্পর্কে কোন সত্য ইতিহাস কেউ লেখেনি।
স্বাধীনতা এনেছি এনেছি করে মুখ দিয়ে ফেনা উঠে যাচ্ছে আর ঘরে ঘরে লাশ পড়ছে। এইবারে মোসাহেব লেখক ইতিহাসবিদেরা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নতুন সংজ্ঞা লিখবে।

কারণ সতেরো কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.