স্বর্গের অপ্সরী ভেবে সেক্স টয়কে পূজা করছে মানুষ!

ঢাকা : সমুদ্রবর্তী দ্বীপপুঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার গ্রামবাসী তাদের সমুদ্রসৈকতে এমন এক জিনিস আবিষ্কার করলেন যেটা দেখে তারা থতমত খেয়ে গেলেন। সৈকতে তারা একটা আশ্চর্য সুন্দর একটি পুতুল কুড়িয়ে পেলেন। কিন্তু এটা এখানে এলো কিভাবে? অনেক চিন্তাভাবনার পর তাদের মনে হল এটা সাধারণ কোন পুতুল না, বরং স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোন পরী বা অপ্সরী। যদিও পরীর চিন্তা বেশিক্ষণ করার সুযোগ তারা পেলেন না। খুব শিগগিরই জানা গেলো ঐ পরী আসলে পরী নয়, সেক্সটয় বা যৌন কাজে ব্যবহৃত পুতুল।

ঘটনা হচ্ছে, গ্রামবাসীর পরীর কাহিনী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে এসে হাজির হল পুলিশ। পুলিশ এসেই সবার আগে স্বর্গীয় ব্যপারটা উড়িয়ে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন আসল কাহিনী। গ্রামবাসীর কুড়িয়ে পাওয়া কল্পনার পরী হয়ে গেলো কল্পনার পতিতা।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান হেরু প্রামুকার্নো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘যখন আমাদের অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন, তখন তারা দেখলেন এটা স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোন অপ্সরী নয়। এটা স্রেফ একটি সেক্স টয় বা যৌন পুতুল।’

পুলিশ জানিয়েছে, পারদিন নামের এক জেলে গত মাসে মধ্য ইন্দোনেশিয়ার বাঙ্গাই দ্বীপে মাছ ধরে ফেরার পথে ঐ পুতুল আবিষ্কার করেন। ঘটনাটি ঘটে ঐ অঞ্চলে সূর্যগ্রহণ ঘটে যাওয়ার পরের দিন। সূর্যগ্রহণের ঘটনা মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির মানুষের কাছে খুবই আধ্যাত্মিক একটি অভিজ্ঞতা। ফলে পুতুল খুঁজে পাওয়ার পর অশিক্ষিত জেলেরা মনে করলেন এই দুই ঘটনার মধ্যে একটা যোগাযোগ রয়েছে।

পারদিন পুতুলটিকে নিয়ে গেলো তার গ্রাম কালুপাপিতে। তার মা পুতুলটিকে পোশাক পরালেন, মাথায় স্কার্ফ বসালেন এবং একটা চেয়ারে বসিয়ে রাখলেন। এরপর থেকেই সবার মধ্যে হইচই পড়ে গেলো। পুলিশের কানে গেলো। বাধ্য হয়ে তারা তদন্তে নামলো পুলিশ।

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ঐ পুতুল নিয়ে আমরা নানান উড়ো খবর পাচ্ছিলাম। যেমন অনেকেই বলেছেন ঐ স্বর্গের অপ্সরীকে যখন পাওয়া গিয়েছিল সে নাকি তখন কাঁদছিল! আসলে কালুপাপি গ্রামটি আধুনিক জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। সেখানে ইন্টারনেট নেই। ফলে তারা জানেনা যে সেক্স টয় আসলে কি জিনিস।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.