সমকামী, সমস্যা কোথায়?

বাংলাদেশে যদি কেউ সমকামী হয় তাহলে সমস্যা কোথায়? বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করলে সমস্যা নাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করলে সমস্যা নাই। পুলিশ বা র‍্যবের ইউনিফর্মে মানুষের বাসায় ঢুকে মানুষকে গুলি করে হত্যা করলে কোন সমস্যা নাই। শাপলা চত্বরে হানাদার বাহিনী স্টাইলে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হত্যা করলে কোন সমস্যা নাই। প্রতিদিন সাড়া বাংলাদেশে হানাদার স্টাইলে ধর্ষন ও হত্যা চালিয়ে গেলে কোন সমস্যা নাই। সমকামীতাই একটা বড় সমস্যা হয়ে গেলো?

মানুষ হত্যা অপরাধ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের টাকা লুট করা অপরাধ
ধর্ষন অপরাধ
নিরীহ মানুষকে ভুয়া মামলাতে ফাঁসিয়ে জেলে বন্দী রাখা অপরাধ
নিরীহ মানুষকে ভুয়া মামলাতে ফাঁসিয়ে ফাঁসি দেওয়া অপরাধ
নাগরিক হত্যা অপরাধ
এত সব অপরাধের কোন রকম বিচার না হওয়াও অপরাধ
সেখানে সমকামীতা অপরাধ বা ঘৃনিত হতে যাবে কেনো ?

একজন পুরুষ যখন অন্য একজন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় বা একজন নারী যখন অন্য একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় তখন সেই পুরুষ বা নারীকে সমকামী বলে। এই আকর্ষন এর কারণ সম্পর্নভাবে শারীরিক ।  কথিত আছে সক্রেটিস, আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট, লর্ড বাইরেন, কিং এডোয়ার্ড -২, জুলিয়াস সিজার, মাইকেল এঞ্জেলো, লিউনার্দো দ্য ভিঞ্চি, যীশু খ্রীষ্ট এরা সবাই সমকামী ছিলেন।

একজন মন্ত্রী বলেছে সমকামীতা বাংলাদেশে মানায় না। তাহলে বাংলাদেশে কি মানায়? ধর্ষক মানায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা লুট করা মানায়? শিশুদের দিয়ে ভোট দেওয়া মানায়? রাস্তাঘাটে বা বাসায় প্রবেশ করে মানুষ হত্যা করা মানায়? পুলিশ বা র‍্যাবের ইউনিফর্ম পরিধান করে মানুষ হত্যা করে ক্লান্ত হয়ে এখন নানা মানুষকে কোপানো শুরু করেছে ব্যাঙ্ক ডাকাতেরা।

পাকিস্তানের পাহাড়ি এলাকাতে শুধু মাত্র সন্তান উৎপাদন করার জন্যই নারীর যোনী ব্যবহার করা হয় তাছাড়া এইসব এলাকাতে বলা চলে সবাই যৌনকর্মের জন্য পুরুষ ব্যবহার করে বা পুরুষ শিশু কিশোরদের ব্যবহার করে।  সমকামীতা চলে আসছে বহুযুগ আগে থেকে। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে, মধ্যপ্রাচ্যে, সিল্ক চীনের বিভিন্ন আর্ট থেকে জানা যায় সমকামীতার প্রচলণের কথা।

বেশীরভাগ সমকামী এইচ আইভি এইডস রোগে মারা যায়।
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যখন সম্পুর্নভাবে ভেঙ্গে যায় সেই অবস্থাকে এইডস বলে (Human Immunodeficiency Virus (HIV) Acquired immune deficiency syndrome (AIDS) ।
৬৩% সমকামী (যারা পুরুষের সাথে পুরুষের যৌন সম্পর্ক বা নারীর সাথে নারীর যৌন সম্পর্ক) ও উভকামী (যারা নারীপুরুষ উভয়ের সাথেই যৌনকর্মে লিপ্ত থাকে) এইডস রোগে মৃত্যু বরণ করে। বাকীরা মাদকদ্রব্য নেবার জন্য ব্যবহৃত ইনজেকশন শরীরে প্রবেশ করার ফলে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়।

এইডস কিভাবে ছড়ায়?
রক্তের মাধ্যমে
যৌনীর মাধ্যমে
বীর্যের মাধ্যমে
ও মায়ের দুধের মাধ্যমে (মায়ের যদি এইডস থাকে তাহলে শিশু সেই দুধ পান করলে এইডস হবে)
এইচ আইভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পরে দশ বছর সময় নিতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে দিতে। এইডস এর কোন প্রতিরোধ নাই। এইডস রোগ মারাত্মক যন্ত্রনাদায়ক।

বাংলাদেশের বাতাসে ছড়িয়ে রয়েছে নানারকমের মারাত্মক ভাইরাস। এইচ আইভি এইডসের চেয়েও মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে যা থেকে বাঁচার উপায় আছে কিন্তু কেউ সে উপায়ের কথা চিন্তাভাবনা করছেনা। বাংলাদেশের বাতাসে যে ভাইরাস ছড়িয়ে আছে তা হলো- বেইমানী। এইচ আইভি এইডসের চেয়েও মারাত্মক। অথবা একই রকম। কিছু বলা যাচ্ছেনা। বেইমানি, স্বার্থপরতা, প্রেমহীন, নির্মম, নিষ্টুর, কসাইয়ের হৃদয় নিয়ে বসবাস যেখানে গরু জবাইয়ের চাইতেও অধিক পরিমানে জবাই হয় মানুষ।

সমকামী জবাই বা ব্লগার জবাই বা ব্লগার বিরোধীদের গণহত্যা বা নিরীহ মানুষকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ফাঁসি আর এই ফাঁসি দেবার আগে লোক হাসাহাসি সব কিছুই যেন চলেছে যাত্রাদলের পালার মত । দিল্লী স্ক্রিপ্ট লেখে আর বাংলাদেশের বেইমানেরা মূকাভিনয় করে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেইমানীতে ভেসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পচাগলাভাসা লাশে অরুচি ধরে গেছে শকুনের। শূন্য বুক মায়ের হাহাকার আর আহাজারি খেয়ে ফেলেছে ভাইরাসযুক্ত বাতাস। বধুরা কেউ জানেনা সে বিধবা না সধবা। যুদ্ধে না যেয়েই যুদ্ধে গেছে অনেকেই যারা ফিরে আসেনি এখনও। শিশুরা অপেক্ষা করে বাবার ফিরে আসার। বাবার নামে হাজার মামলা। ভুয়া মামলা একটি বহু পুরাতন শিল্প । অতীতে ইংরেজেরা স্বদেশীদের নামে মামলা দিয়া ফাঁসি দিতো বা দিপান্তর দিতো । এখন ভুয়া মামলা দিয়া ব্ল্যাক মেইল করে টাকা কামাই করা হয় বাংলাদেশে। এইটা একটা আর্ট এবং শিল্প। প্রতারণা একটি আর্ট। এখন আর জীবিকা নির্বাহের জন্য পরিশ্রম করার দরকার হয়না মিথ্যাচার করে টাকা কামাই করা যায়।

সমকামী হোক বা বিপরিতকামী। নাস্তিক হোক বা হুজুর – কোন ব্যাপার না। দিল্লীর গোলাম হিসাবে বাংলাদেশের সম্পদ পাচার ও লুট করার মোহে ক্ষমতায় যাবার জন্য আর সেই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এখন প্রতিযোগীতা চলছে দ্বিপদ রক্তখেকো হায়েনাদের। নধর গতর হেটে চলে মাথা নেড়ে রক্ত চুইয়ে পড়া দাঁত  খেঁচানো খিস্তি খেউরে গণভবন আর সংসদ ভবনের দেওয়ালে আছড়ে পড়ে । বাংলাদেশ থেকে মানুষ, মানবতা, ধর্ম, যা কিছু সুন্দর যা কিছু ভাল যা কিছু কল্যাণকর সব কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *