শফিক রেহমানের গ্রেফতারের জন্য কেহ দায়ী নহে

যারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, লেখক, বুদ্ধিজীবি, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, সাহিত্যিক, কবি, ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ, গায়ক, নায়ক, সাংবাদিক, মানবাধিকার উদ্ধারকারী তাদের ভেতরে কে কে আছেন যারা ১৯৭২-৭৫ সালের দিনগুলো দ্যাখেন নাই??? যারা ১৯৭২-৭৫ সাল দ্যাখে্ননি তাদের ভেতর অন্যতম হচ্ছেন শফিক রেহমান। ছবিতে শফিক রেহমান ও শেখ হাসিনাকে খুবই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

ছবিতে শফিক রহমানের হাসি সুস্পষ্টভাবে বলে দেয় ১৯৭২-৭৫ সালের দিনগুলির কথা সেদিন শফিক রেহমানের অজানা ছিল। শেখ মুজিব যা করেছে হাসিনা সেটাই করছে। সুতারাং শফিক রহমানের গ্রেফতারের জন্য কেহ দায়ী নহে। কেস ক্লোজড। শফিক রেহমান জেনেশুনে বিষ করেছে পান। শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল যখন ব্যাঙ্ক ডাকাতির জন্য পুলিশের গুলি খায় সেদিন শফিক রেহমান কোথায় ছিলেন? শেখ মুজিবের নাতী যখন ব্যাঙ্ক লুট করে তখন শফিক রেহমান কেনো তদন্দ শুরু করলেন? শেখ কামাল যখন ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছিল তখন শফিক রেহমান যোয়ান ছিলেন। শেখ হাসিনাকে যখন শফিক রেহমান লালা গোলাপ দিয়েছিলেন তখন শফিক রেহমান মধ্যবয়স অতিক্রম করছিলেন। তখন তিনি এত হাসিখুশী হয়ে গেলেন শেখ হাসিনাকে দেখে।

শেখ হাসিনাকে পেয়ে বাংলাদেশের সবাই আকাশের চাঁদ পেয়েছিলো নাকি?
শেখ হাসিনার সাথে এই রকম হাসিখুশি ছবি আছে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও মুসলিম লীগের নেতার পুত্র সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর। পরে যাকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে শেখ হাসিনা ফাঁসি দেয়।
শেখ হাসিনার সাথে এই রকম হাসিখুশী ছবি আছে জামাতে ইসলামের নেতাদের। এই রকম হাসিখুশী ছবি দেখার পরে আর ভাবাই যায়না একদিন এই হাসি মুখে হাসি থেকেই যাবে আমৃত্যু।

শেখ মুজিবকে বাংলাদেশের মানুষ যেমন ভালবাসতো শেখ হাসিনাকেও বাংলাদেশের মানুষ তেমনই ভালবাসে।
এই ভালবাসা অম্লান থাকুক। শেখ মুজিবের নির্দেশে যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের জীবনের তো কোন মূল্যই ছিলনা তাই সবাই সেই শেখ মুজিবের মেয়ের প্রত্যাবর্তনে আহ্ললাদে আটখানা হয়ে গেছিলেন। জিয়াউর রহমান তো মুজিবের লুট করা সকল সম্পত্তি আগলে বসেছিলেন আর সেইসব পাবলিকের লুট করা সম্পদ শেখ হাসিনার হাতে বুঝিয়ে দিয়ে তিনিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শেখ মুজিব ও তার  আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের লুট, খুন, ধর্ষণের ফলে যারা ১৯৭২-৭৫ সালে মারা গেছেন, বা সব হারিয়েছে্ন তাদের জীবনের তো কোন মূল্য ছিলনা বলেই শেখ হাসিনাকে সাড়া বাংলাদেশ বুকে তুলে নিয়েছিল। আহা, মাবাবাহারা এতিম ফিরেছে – সবাই কত হাসি খুশী ঢাকঢোল বাজিয়ে বরন করে নিয়েছে। আহা কি প্রশান্তি। ফারাক্কা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে পদ্মাপাড় মরুভুমি হয়েছে, তাতে কি? শফিক রেহমানের তো কোন ক্ষতি হয়নি তখন। যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের কথা কে মনে রাখে?

রক্ষীবাহিনী হাজার হাজার বাংলাদেশী হত্যা করেছে । তাতে কি? সেইসব মানুষের কথা কে মনে রাখে? জন্মিলে মরিতে হবে। তাইতো সেইসব রক্ষীবাহিনীর বিচার হয়নি। সেইসব রক্ষীবাহিনী বাংলাদেশ আর্মীর সাথে মিশে গেছে। আহা কি নির্মম প্রশান্তি। সবাই চায় খ্যাতি, সবাই ক্ষমতা চায়, সবাই সম্পদ চায়, সবাই বাড়ী, গাড়ী, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকাতে বড় বড় অফিস বিল্ডিং এর মালিক হতে চায়, হাজার হাজার একর জমীর মালিক হতে চায়, সবাই লুটে নিতে চায় সম্পদ এতে আর আশ্চর্য হবার কি আছে? শেখ মুজিবের নাতী তো সবাইকে অনুসরণ করেছে মাত্র। শফিক রেহমান এতদিন কোথায় ছিলেন? মুজিবের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কেন তিনি স্বোচ্চার না হয়ে মুজিবের মেয়েকে লাল গোলাপ দিলেন? কেন তিনি সেদিন ভেবে দ্যাখেননি মুজিব যেভাবে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে একইভাবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করবে। এই কথা শফিক রেহমান কেনো ভাবলেন না সেদিন যেদিন উপরের এই হাসিখুশী ছবিটি নেওয়া হয়েছিল। দুইজনের হাসিতে আমি মুগ্ধ। ১৯৭১ সাল থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে । এখনো সবাই ঘুমাচ্ছে। লাশের ছবি পোস্ট করছে ফেসবুকে।

সবাইকেই পাপ মোচনের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীর জনকের কন্যা বাংলাদেশ জাতীর জননী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.