রক্তের দাগ শুখায় নাই!! গ্রামের সন্তানদের যারা গুলি করে হত্যা করেছে সেই খুনীরা ফিরে আসছে গ্রামে অন্য মুখোশে। খুনীরা ফিরে আসছে গ্রামে ভালমানুষের মুখোশে। দাতার বেশে। লাখ টাকা দিবে ক্ষতিপূরণের জন্য । অবশ্যই দিবে। প্রতিটি লাশের জন্য ক্ষতিপূরণ দিবে সরকার। সরকারী উর্দি পরিহিত পুলিশেরা গুলি করে গ্রামবাসীদেরকে হত্যা করেছে। গ্রামের মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। কি অপরাধ ছিল গ্রামবাসীর? এই গ্রামে কি যুদ্ধ হচ্ছে? পরিবেশ রক্ষা করতে গেলে গ্রামকে ধবংসের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে সরকারী পুলিশ গুলি কেনো চালাবে? কয়লা বিদ্যুৎ ব্যক্তি মালিকানা আর সেই বিদ্যুৎ রক্ষা করার জন্য গুলি চালায় সরকারী পুলিশ? পুলিশ কার? কার টাকা খেয়ে পুলিশে গুলি চালায় জনগনের বুকে?
টাকা দিয়ে জীবন ফিরিয়ে আনা গেলে আওয়ামীলীগ টাকা দিয়ে শেখ মুজিবকে ফিরিয়ে আনুক।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে ২৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরি করেছে সেই টাকা দিয়ে শেখ মুজিবকে ফিরিয়ে আনুক । টাকা দিয়ে সব কিছু যদি কেনা যায় তাহলে শেখ মুজিবের পুরা পরিবারকে ফিরিয়ে আনুক টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে যদি জীবন ফিরিয়ে আনা না যায় তাহলে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে সারা বাংলাদেশে । প্রতিদিন মানুষ হত্যা করে লাশের উপরে টাকা ছুঁড়ে মারা বন্ধ করতে হবে।
গন্ডামারার পশ্চিম বড়ঘোনার গ্রামবাসীকে এইবারে আরো সাবধান হতে হবে। এইবারে গ্রামে সাধুর বেশে ফিরে আসছে সাইফুল আলম মাসুদ আর তার পোষা খুনী ও হিংস্র পশুরা। গ্রামবাসীকে সাবধান হতে হবে। সাবধান হতে হবে সবার থেকে যারা বেশী ভালবাসা দেখায়। লিয়াকতও সাইফুল আলম মাসুদের লোক। লিয়াকত হলো বিশ্বাসঘাতক ও মুখোশ পড়া মীরজাফর দুমুখো সাপ। একদিকে সে গ্রামের লোকেরে জড়িয়ে ধরে ফটো তুলছে অন্যদিকে মাসুদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। এই লিয়াকতই গ্রামবাসীদের চোখে ধুলো দিচ্ছে। লিয়াকত যদি কয়লা বিদ্যুতের বিরোধিতা করতো তাহলে পুলিশ লিয়াকতকে কি ছেড়ে রাখতো? লিয়াকতের বুকে কেনো গুলি লাগেনি? লিয়াকত কেমনে জীবিত আছে? লিয়াকত কয়টা মামলা খাইছে?
বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে রাখা হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে আর বিছানায় আর লিয়াকত কেমনে ঘুড়ে বেড়ায় ? গ্রামের মানুষেরে বুকে জড়িয়ে ধরে ফটো উঠায়? কেমনে? যেহেতু লিয়াকত টাকা খেয়েছে মাসুদের তাই গ্রামের মানুষের আবেগ নিয়ে খেলাধুলা করছে। লিয়াকতকে কেউ বিশ্বাস করবেন না। এরা সবাই মাসুদের লোক। ক্ষতিপূরণ যা পাবেন তা নিয়ে নিন তারপর মাসুদের লোকদের সবাইকে গ্রাম থেকে বিতারিত করুন।
এখন নতুন চাল চেলেছে মাসুদ। তা হলো গ্রামের মানুষকে টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তারপর সবাই যখন সব কিছু ভুলে যাবে তখন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করবে। গ্রামের লোকেরা তখন আর প্রতিবাদ করতে পারবেনা । তখন বন্ধু হিসাবে গ্রাম ধ্বংস করবে সাইফুল আলম মাসুদ। জ্বালানী উপমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছে। আওয়ামীলীগের খুনীরা মিথ্যা ছাড়া কিছুই বলেনা। আওয়ামীলীগের খুনীদের আসল চেহারা দেখতে হলে নীচের ছবিগুলো দেখুন । এই ছবিতে শেখ হাসিনার সাথে আছে নিজামী ও সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী। এই ছবিতে কত হেসে হেসে কথা বলছে সবাই । পরবর্তীকালে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই ছবিতে যে নিজামি দাঁড়িয়ে আছে, সেই জামাত নেতা এখন জেলে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে ফাঁসীর জন্য অপেক্ষা করছে। ছবিটা তোলা হয় জাতীয় সংসদে। তখন শেখ হাসিনা এইসব লোকদের ব্যবহার করেছে ক্ষমতা পাবার জন্য । ক্ষমতা পেয়ে এইসব লোকদেরকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ফাঁসি দিয়েছে।
বাঁশখালীর গন্ডামারা পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামেই শেখ হাসিনার কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। প্রথমে গুলি চালিয়েছে, গ্রামের মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে গ্রামের মাটি তারপর আহতের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে হাসপাতালের বিছানাতে পুলিশ পাহাড়াতে রেখেছে অপরাধীর মত তারপর গ্রামের সবার নামে মামলা দিয়েছে এখন তারপর এখন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছে তারপর সবাইকে ভালবেসে সবার সাথে বসেই গ্রামের ভেতরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত করবে । বাঁশখালীর জনগণের সাবধান হতে হবে । শেখ হাসিনার কোন লোককে বিশ্বাস করলেই মরণ হবে সবার। ধ্বংস হবে বাঁশখালী। শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের নেতারা ধ্বংস ছাড়া কিছু বুঝেনা। সুতারাং সবাই সাবধান। চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কোন রাজনীতিবিদকে বিশ্বাস করবেন না। সবাই দালাল আর খুনী।
গ্রামের মানুষ সবাই একত্রে থাকুন আর রাজনীতিবিদ, মুনাফাখোড় ব্যবসায়ীদের গ্রাম থেকে বিতারিত করুন। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জাগাতে আদি মালিকেরা ফিরে এসে যার যার জমি পুনঃরায় দখল করুন।