হাতকড়া লাগানো হয়েছে বাঁশখালীর হাতে

কে এখানে অপরাধী?
যারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে তারা?
নাকি যারা কয়লা বিদ্যুৎ চায়না ?
অপরাধী কে ?
যারা গুলি চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে তারা?
নাকি যারা গুলি খেয়ে মরছে?
কোন দুনিয়াতে আহত মানুষকে হাসপাতালের বেডে হাতকড়া পড়িয়ে রাখা হয়?
বাচ্চা বাচ্চা গুলিবিদ্ধ ছেলেদের এত ভয়?  ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক। অপরাধীরা ভয়ে ভয়েই থাকে।
প্রথমে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হলো , গুলি চালিয়ে মানুষকে আহত করা হলো, এখন প্রতিটি রোগীর পাশে ডাক্তার নেই , পুলিশ বসে আছে। এখন প্রতিটি আহত রোগীর হাতে হাতকড়া লাগিয়ে পুলিশে পাহাড়া দিচ্ছে হাসপাতালের বেডের পাশে। কোথায় আছি আমরা?
জার্মানের নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে?
এখন কি বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে?
একাত্তুরের দিনগুলি চলছে?
কোথায় আছি আমরা?
সিরিয়া ?
পালেস্টাইন?
লিবিয়া?
ইরাক?
আফগানিস্তান?
কোথায় আছি আমরা?
যাদের হাতে বন্দুক আছে, বুলেট আছে, ক্ষমতা আছে, পুলিশ আছে, দিনরাত পাখী শিকার করার মত নিরীহ মানুষকে হত্যা করেও তাদের ভয় কমে নাই?

ভয় হয় , ছেড়ে দিলেই এইসব আহত পাখীরা চুরমার করে ভেঙ্গে দেবে কাঁচের দেওয়াল?
ঝরের মতো করে  উড়িয়ে দেবে বাঁশখালীর প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র?
খুব ভয় হয় এই বুঝি গদি যাবে, লুটের টাকা নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে। আওয়ামীলীগের সব নেতারাই সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে বিশাল শরীর ফুলিয়ে মারা যায় কিছু দিন পরপর।  তারা তাদের লুটের মোট কত টাকা নিয়ে যেতে পেরেছে পরপাড়ে?
কত গুলি আছে তোমাদের বন্দুকে?
বাংলাদেশের মানুষের টাকায় বুলেট কিনে বাংলাদেশের মানুষের বুকেই চলছে গুলি ?
এখন স্পষ্ট বোঝা গেলো এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আসল মালিক কে?
এখন স্পষ্ট বোঝা গেলো পাখী শিকারের মত মানুষ হত্যা করে কে?
অপরাধীরা এখন বন্দুক ধরে রেখেছে নিরীহ মানুষের বুকে। মানুষের বুকে বন্দুক ধরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে? কতদিন?
মোট কতগুলো লাশের উপরে এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে?
বুঝতে পারছি এখনো  একে একে অনেক লাশ ফেলার বাকী।

অনেক লাশ তো পড়েছে। কেউ কি  ভয় পেয়েছে? হাসপাতাল বেডে হাতকড়া লাগানো ঐ কিশোরের মুখের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দ্যাখ। কি দেখিস?
কিশোরের মুখ নির্ভীক। রক্ত গেছে। দেহ ছিড়ে গেছে। তবু সে নির্ভীক। ভাল করে তাকিয়ে দ্যাখ।

ওর চোখে মুখ কোন ভয় নেই । ভয় আছে তোর চোখে মুখে। বাঁশখালীর জনগণের চোখে মুখে ভয় নেই। গুলি চালিয়ে লাভ হয়নি। ভয় দেখাতে পারিস নাই ।  হত্যা, মামলা, হাতকড়া – কোন কিছুতেই কাজ হয় নাই। হবেও না।

এক রাস্ট্রদ্রোহী ও খুনী লোকান্তরে বাকী খুনী ও লুটেরাদেরকেও যেতে হবে ।

400401402403404405406407408

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *