সেনানিবাসগুলোকে আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

দেশের সেনানিবাসগুলোকে আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব উঠেছে মন্ত্রিসভায়। তবে এ প্রস্তাবে তিন বাহিনীর আপত্তি থাকায় আরো যাচাই-বাছাই ও তিন বাহিনীর মতামতসহ উপস্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সচিব বলেন, ১৯২৪ সালের ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট দিয়ে এতদিন বাংলাদেশের সেনানিবাসগুলো পরিচালিত হয়ে আসছিল। সেনানিবাসগুলো পরিচালনার জন্য আইনি কাঠামোর ভেতরে আনার জন্য আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভায় ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করে। সচিব বলেন, ‘তবে মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি অনুমোদন না করে তা আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এই প্রস্তাবের বিষয়ে আমি এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’

এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় তিন বাহিনীর মতামত যুক্ত হয়নি তাই আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী পরামর্শক্রমে প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, এতদিন ধরে দেশের ক্যান্টনমেন্টগুলো ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে ১৯২৪ সালের একটি স্বতন্ত্র আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল।

সরকার চেয়েছিল এগুলোকে কেন্দ্রীয় একটি আইনের আওতায় আনতে। এই প্রস্তাবটিই আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। তবে প্রস্তাবে সেনাবাহিনীর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে আইনটি আবার ওই মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের জানান, এজন্য মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে ওই মন্ত্রণালয়কে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । প্রস্তাবে কিছু পরিমার্জন পরিবর্ধন ও সেনাবাহিনীর মতামত-সুপারিশ যুক্ত করে আবার উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *