অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ!

গভর্নরের পদত্যাগের পর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এ গুঞ্জনের ডালপালা গজাতে শুরু করে গত শনিবার রাত থেকে। রবিবারও সারাদিন চলেছে মুখরোচক নানা আলোচনা। এদিন মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটির বৈঠকেও আসেননি অর্থমন্ত্রী।

রবিবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে বেফাঁস মন্তব্য না করতে সবাইকে সতর্ক করে দেয়ার পর নতুন মাত্রা পেতে শুরু করে পদত্যাগ গুঞ্জন। সভায় অর্থমন্ত্রীর অতিকথন নিয়ে কথা তোলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম।

এদিকে সোমবার মন্ত্রিসভার নির্ধারিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর যোগ দিতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় গুঞ্জনের ভিত্তি আরও মজবুত হতে থাকে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে যান অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে গভর্নরের পদে থেকে পদত্যাগ করেন ড. আতিউর রহমান। তার পদত্যাগের চারদিন পর গত শনিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে অর্থ লোপাটসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮’শ কোটি টাকা চুরি, সে খবর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এক মাস গোপন রাখা, গভর্নর হিসেবে আতিউরের কার্যক্রম, নিজের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থ লোপাটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয় স্পষ্ট করে অর্থমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, তাদের সহযোগিতা ছাড়া এ কাজ সম্ভব হতো না। রিজার্ভ স্ফীতিতে বড় ভূমিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখ করে মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাবেক গভর্নর ড. আতিউরের ভূমিকা প্রায় শূন্য। বিদায়ী গভর্নর দেশে ও বিদেশে শুধু বক্তৃতা দিয়ে বেড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্বেচ্ছায় অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে এ মুহূর্তে কোনো পদক্ষেপে নাও যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এসময়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে পরিবর্তন কিংবা সরিয়ে দেয়া সরকারের ওপর আস্থার সঙ্কট তৈরি হবে কি না তাও সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। সব মিলিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদে পরিবর্তনে অপেক্ষা করতে হতে পারে পরবর্তী মন্ত্রিসভা রদবদল পর্যন্ত।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *