বাংলাদেশ ব্যাংকে এতো হিন্দু কর্মকর্তা, কি বার্তা দেয়?

দেশ যে ভারতের দখলে সেটা আবারো প্রমান হলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা চুরির ঘটনা থেকে । নেপথ্যে কারা আছে লেখাটা পড়লেই বুঝবেনঃ
হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আটশ’ কোটি টাকা চুরি (হ্যাক) করেছে বা এর জন্য ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক দায়ী বলে প্রকৃত ঘটনা চেপে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রকৃত ঘটনা হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব সুইফট কোডের মাধ্যমে‌ই টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। আর স্বাধানী সার্বভৌম বাংলাদেশের এই সুইফট কোডের নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারত থেকে। টাকা লুটের পর নিয়ন্ত্রণে জড়িতদের বাংলাদেশে আসতে বলা হলেও তারা আসছে না।
সুইফট তথা সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন হলো বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তব্যাংক আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিচিতি শনাক্ত করা হয়। যা মূলতঃ সংকেতলিপি তথা কোডের মাধ্যমে করা হয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের তারবার্তা (ওয়ার) এই কোডের মাধ্যমে আদান প্রদান করা হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইফট কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে বার্তা (ওয়ার) বিনিময় হয়েছে, সেটি ছিল বিশ্বাসযোগ্য (অথেনটিক)। এখন পর্যন্ত আমাদের নেটওয়ার্ক অপব্যবহার হয়েছে, এ রকম কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
যার মানে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো সুইফট কোড দিয়েই এই টাকা সরানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সহজেই ধারণা করা সম্ভব যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ এই কোড পাঠানোর সঙ্গে জড়িত। এখন প্রশ্ন হলো কে জড়িত? (সূত্রঃ http://goo.gl/M9PYhV)
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রভাবশালী মহল ও একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে। এটা হ্যাকিংয়ের ঘটনা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন সুইফট কোড, কার্ড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই পুরো লেনদেন হয়ে থাকার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বাইরের কারো কাছে এই তথ্য দিয়ে ঘটানো হয়েছে এই লেনদেন বলে মনে করছে অর্থমন্ত্রণলায়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে পৃথিবীর সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান লেনদেন করে সুইফট কোডের মাধ্যমে। কর্তৃপক্ষ এই সুইফট কোড লেনদেনের জন্য ঝুঁকিমুক্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এই সফটওয়্যারটি হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে হয় নির্দিষ্ট কোড, কার্ড ও সংকেতের মাধ্যমে। এই কোড দিয়ে তথ্য প্রেরণ করার পরেই পুরো তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পরিবর্তন হয়ে নতুন সাংকেতিক চিহ্নে রুপান্তরিত হয়। এভাবেই বদলাতে বদলাতে সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে রিসিভার কম্পিউটারে পৌঁছে যায়। রিসিভার কম্পিউটার পুনরায় সিঙ্কক্রোনাইজ হওয়া তথ্য প্রেরণকারী সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য উদ্ধার করে।
এর বাইরেও নতুন লেনদেনের জন্য সর্বশেষ লেনদেনের একটি সাংকেতিক চিহ্ন দিতে হয়। যা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগের তিন সেকশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাই জানেন। (সূত্রঃ http://goo.gl/txAMXJ)
এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেনের এই সাংকেতিক চিহ্ন বা কোড ব্যবহারকারীগন কারা ? কাদের হস্তক্ষেপে এতবড় চুরির ঘটনা ঘটেছে? নাম গুলো পড়লেই এর সাথে ভারত সংযোগ পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণরঃ
১) সিতাংশু কুমার শুর চৌধুরী – sksur.chowdhury@bb.org.bd
ফোনঃ 880-2-9530412(Off), 880-2-8333621(Res)
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরঃ
১) নির্মল চন্দ্র ভক্ত – nirmal.bhakta@bb.org.bd
ফোনঃ88-02-9530472
২) শুভঙ্কর পদ সাহা – subhankar.saha@bb.org.bd
ফোনঃ 880-2-9530413
৩) বিষ্ণু পদ সাহা – bishnu.saha@bb.org.bd
ফোনঃ 880-51-69205
৪) অশোক কুমার দে – ashok.dey@bb.org.bd
ফোনঃ 880-51-69205
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর মহাব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছেন-
১) প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক – provash.mallick@bb.org.bd
২) সন্তোষ কুমার চৌধুরী – sontosh.kumar@bb.org.bd
৩) দেব প্রসাদ দেবনাথ – debaprosad.debnath@bb.org.bd
৪) প্রকাশ চন্দ্র ভদ্র – prokash.bhadra@bb.org.bd
৪) স্বপন কুমার রায় – swapan.roy@bb.org.bd
৫) দেব দুলাল রায় – debdulal.roy@bb.org.bd
৬) মনোজ কুমার বিশ্বাস – manoj.biswas@bb.org.bd
৭)মনোজ কান্তি বৈরাগী – manoj.kanti@bb.org.bd
৮) দেবাশীষ চক্রবর্তী – Debashish Chakrabortty
৯) সুকমল সিংহ চৌধুরী
১০) মিহির কান্তি চক্রবর্তী – mihirkanti.chakraborty@bb.org.bd
১১) শ্যামল কুমার দে
১২) অসীম কুমার মজুমদার – ashim.mojumdar@bb.org.bd
কি এবার বুঝে আসতেছে তো ??
দাঁড়ান ! ঘটনা এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরির ঘটনা তদন্ত্রে আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাকেশ আস্থানাকে। ভারতের এই নাগরিক আইটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছে বিশ্বব্যাংকে। তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রকার নীয়মনীতি। বাংলাদেশে ভুড়িভুড়ি অভিজ্ঞ আইটি এক্সপার্ট থাকার পরও এই ভারতিয় হিন্দুকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেয়ার অর্থই হচ্ছে এবিষয়ে মূল জড়িতদের তথ্য মুছে ফেলে পানি ঘোলা করার রাস্তা সুগম করে দেয়া। কেন বলছি? দেখুন এই ভারতীয় কনসালটেন্ট নিয়োগ পেয়েই বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কম্পিউটারেই একটি বিশেষ সফটওয়্যার ইনস্টল করার নির্দেশনা দিয়েছে। সফটওয়্যারটি রাকেশ আস্থানার তৈরি। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি খাত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে প্রথম দিনই কাজ শুরু করেন রাকেশ আস্থানার টিম। প্রথম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল ফ্লোরের ইন্টারনেট পয়েন্ট লাইন চেক করে। কোন পয়েন্টে ইন্টানেটের স্পিড কত তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এসময় টুকে নেওয়া হয় প্রতিটি পয়েন্টের আইপি এড্রেস ও সিরিয়াল নম্বর।
নিয়োগ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই আইটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা বলে, হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈদেশিক মুদ্রা চুরির ঘটনার আইটি ও সাইবার বিষয়ের তদন্ত তিনিই করছেন। তার নেতৃত্বে একটি ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। (সূত্রঃ http://goo.gl/FwmCU5)
মজার বিষয় হচ্ছে এত টাকা চুরি সাথে জড়িত সেই ভারতেই এখন গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ()
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের সংবাদপত্র “দি ফিলিপিন্স ডেইলি ইনকোয়ারার” টাকা পাচারের প্রতিবেদন ছাপলেও ৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আলোচিত এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
এদিকে একই দিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, তিনি সংবাদপত্র থেকে টাকা পাচারের কথা জেনেছেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে কিছুই জানায়নি।
প্রশ্ন হলো এতবড় ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এতদিন চেপে রেখেছিল এবং এক মাসেরও বেশি সময় খোদ অর্থমন্ত্রীকেও তারা ঘটনা অবহিত করেনি কেন?
তলে তলে ইন্ডিয়ায় টাকা সরিয়ে দিয়ে যখন ধরা পড়লো তখনই হ্যাকিং এর গল্প সাজিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হলো..
মজার বিষয় মানুষ এখন অত বোকা নয়। মানুষ এখন সরকারের সাথে ভারতের দহরম মহরমের খবর খুব ভালো করেই জানে। প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে হিন্দু নিয়োগ করে রাখার উদ্দেশ্যেও এখন আর গোপন রইলো না।

(আতিকুর রহমানের ব্লগ থেকে)

৭ thoughts on “বাংলাদেশ ব্যাংকে এতো হিন্দু কর্মকর্তা, কি বার্তা দেয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *