রামপালে আসছে কয়লা বিভীষিকা

বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় প্রতিদিন রক্তাক্ত বাংলাদেশ দেখে। সাড়া বাংলাদেশ এখন বুলেটবিদ্ধ একটি লাশের মত মুখ থুবড়ে শুয়ে আছে। পত্রহীন ডালে বসে শকুনেরা অপেক্ষা করছে নিঃশব্দে। বাংলাদেশ মরে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছে ভালবাসার অভাবে । বাংলাদেশ মরে যাচ্ছে মানুষের অভাবে। বাংলাদেশ মরে যাচ্ছে প্রেমিকের অভাবে। ভালবাসার অভাবে হৃদয় মরে যায়। ভালবাসার অভাবে দেশ মরে যায়।  ভালবাসার অভাবে নদী মরে যায়। ভালবাসার অভাবে বৃক্ষ মরে যায়। ভালবাসার অভাবে মাটি রুক্ষ হয়ে যায়। মরুভূমি হয়ে যায়। মানুষের চিহ্নহীন এক বদ্বীপ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের কফিনে প্রথম পেরেক ঠুকেছিল শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক  ঠুকবে শেখ হাসিনা।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র – বাংলাদেশের কফিনের শেষ পেরেক
 বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা-বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে।  বাংলাদেশ ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের নাম  Bangladesh India Friendship Power Company (BIFPC). এই প্রকল্পটির জন্য রামপালের ১৮৩৪ একর ধানী জমি দখল করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসাবে কয়লা ব্যবহার করা হবে। বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন টন কয়লা পরিবহন করা হবে ।  ৫৯টি জাহাজে করে  প্রতি জাহাজে ৮০ হাজার টন কয়লা পরিবহন করা হবে সুন্দরবনের পাশের নদী দিয়ে। কয়লা পরিবহনকারী জাহাজের মুখ খোলা থাকে। এইসব জাহাজ থেকে কয়লার ধুলো, সালফার কেমিক্যাল বিষক্রিয়াতে আক্রান্ত হবে সুন্দরবনের প্রানী ও বৃক্ষরাজি ।  তারপর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে কারখানা থেকে বাতাসে মিশবে কার্বন মনোওক্সাইড (carbon monoxide), নিউট্রজন অক্সাইড(oxides of nitrogen ), সালফারডিওক্সাইড (sulphur dioxide) এর মত টক্সিক গ্যাস। পশুপাখী ও প্রানীরা সব ভারতের সুন্দরবনে চলে যাবে। আর গাছপালা মরে যাবে। রামপাল যদি বৃক্ষহীন হয়ে যায় তাহলে বাতাসে ছড়িয়ে যাবে আরো দূরে এবং গ্রাস করবে সমগ্র বাংলাদেশ।

১৩ thoughts on “রামপালে আসছে কয়লা বিভীষিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *