রাজশাহী: চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান ডেভোলপমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামাল হোসেনকে পিটিয়েছে হিজড়ারা। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই তিন হিজড়াকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অক্ট্রয় মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান ডেভোলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষক কামাল হোসেনের দুই বছরের সন্তানকে দেখিয়ে তার অক্ট্রয় মোড়ের বাসায় যায় কয়েকজন হিজড়া। এ সময় তারা ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে তিনি তাদের কিছু টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু হিজড়ারা পুরো ১০ হাজার টাকা দাবিতে অনড় থাকে। ওই শিক্ষক দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে রাস্তার ওপর ফেলে কিল, ঘুষি মারে হিজড়ারা। এ সময় পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয় তারা। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
কামাল হোসেনের স্ত্রী নীলা খাতুন বলেন, ‘টাকা চাইলে আমি ১শ’ টাকা দিই। কিন্তু তারপরও তারা আমার বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমার স্বামীকে তারা পিটিয়ে আহত করেছে।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, অক্ট্রয় মোড় এলাকায় একজন শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবি করে হিজড়ারা। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তিন হিজড়াকে আটক করে।
এ ব্যাপারে দিনের আলো হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোহনা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। যারা এ কাজ করেছে তারা যদি এ সংস্থার সদস্য হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Anwarul Hassan liked this on Facebook.
Nurul Amin Khan liked this on Facebook.
Imam Uddin liked this on Facebook.