রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার রাতে ওই ছাত্রীকে হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এরই মধ্যে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে সোমবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মামলা করতে যান ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা আক্তার। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় ৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, রবিবার বিকেলে তিনি ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে বই কিনতে শিয়া মসজিদের দিকে রিকশায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মসজিদের বিপরীতে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারসহ পুলিশের তিন সদস্য এসে রিকশাটি থামান। কোনো কিছু বলার আগেই তার কাছে ইয়াবা আছে কিনা জানতে চান এসআই। এতে তিনি চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা জোর করে তাকে শিয়া মসজিদের বিপরীতে একটি ইলেকট্রিকের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর এসআই রতন তাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দেন। এ সময় তিনি ওই এসআইকে ভার্সিটির পরিচয়পত্র দেখান। তারপরও তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর অপচেষ্টা করা হয়।’
‘একপর্যায় তিনি এসআইকে বলেন, স্থানীয় লোকদের সামনে ব্যাগ তল্লাশি করতে। তা না হলে থানায় নিয়ে যেতে। কিন্তু এতে রাজি হননি রতন। তখন এসআই রতন ছাত্রীকে হুমকি দেন, আমার কাছে ওসি-ডিসি কিছুই না, কারও কাছে নালিশ করেও কোনো লাভ নেই।’
Masum Abir liked this on Facebook.