যারা বিদেশে আসতে চান তাদের জন্য কিছু ধারণা

যারা বিদেশে আসতে ইচ্ছুক তাদের জন্য কিছু ধারনা দিচ্ছি। বিদেশে আসার চিন্তা ভাবনা করলেই প্রথমে ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করতে হবে । অনেকেই ইংরেজী ভাষা না শিখেই বিদেশে আসে এবং অনেক রকমের জটিলতার মুখোমুখী হয় । সব চাইতে বড় জটিলতা হলো বিদেশে আসার জন্য চেস্টা করতে হলে অন্যের সাহায্য নেবার জটিলতা । একজন দালাল কোন সময় সত্য কথা বলবেনা। নিজের কমিশনের জন্য নানা  রকমের মিথ্যা কথা বলবে। বাংলাদেশী যারা মধ্যপ্রাচ্য বা বাংলাদেশে থাকেন তারা প্রথমে ইংরেজী ভাষা বলা ও পড়া শিখুন।

ইংরেজী পত্রিকা পড়ে, ইংরেজী খবর শুনে, ইংরেজী মুভি দেখে  ও ইংরেজী গল্পের বই পড়ে সাথে একটি ইংরেজী অভিধান রেখে যেকোন বয়সেই ইংরেজী শেখা যায়। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। ইংরেজী শিখতে তিন  মাসের বেশী সময় লাগার কথা না। যে কোন দিন স্কুলে যায়নি সেও ইংরেজী শিখতে পারে । ইংল্যান্ডের প্রচুর মানুষ যাদের মাতৃভাষা ইংরেজী কিন্তু তারা লিখতে পড়তে জানেনা। ইংরেজী ঘরে বসেও শেখা যায়। ইংরেজী শিখে তারপর যে দেশে যাবেন সেই দেশের ইমিগ্রেশন অয়েব সাইটে যেয়ে নিয়ম কানুনগুলো নিজে নিজে পড়েই নিজেই ভিসা প্রসেস করে বিদেশে আসতে পারবেন।

বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েব সাইট এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হলোঃ

কানাডার ইমিগ্রেশনের জন্য এই সাইটে রিসার্চ করুন

কানাডার ইমিগ্রেশনের নিয়ম কানুন এই সাইটে লেখা আছে। ভিসা কিভাবে নিতে হয় আর ভিসা নেবার জন্য কি কি দরকার সব লেখা আছে। এই সাইটের বাইরে আর কিছু নেই। এই সাইট কানাডার সরকারের সাইট । সরাসরি এই সাইট রিসার্চ করে যদি ভিসার জন্য কাগজপত্র তৈরী করেন তাহলে সব চাইতে ভাল হবে। যে টাকা আপনি দালালকে দিবেন তা আপনি নিজের কাগজপত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন এর জন্য এই সাইটে রিসার্চ করুন

অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনের জন্য উপরের লিঙ্কে ক্লিক করে সব তথ্য জানতে পারবেন।

কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতেই মোটামুটি ইংরেজী জেনেই ভিসার জন্য আবেদন করা যায় বাদ বাকী সব দেশেই সেই দেশের ভাষা জানতে হবে যদি সেখানে ভাল কাজ নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা থাকে ।

সব চাইতে ভাল হয় যদি দেশেই থাকেন।  যে টাকা খরচা করে বিদেশে আসবেন সে টাকা সঞ্চয় করুন । বাজে খরচা বন্ধ করে সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবাই যদি সঞ্চয় করেন তাহলে ধিরে ধিরে ব্যাঙ্কগুলোতে পুজি বৃদ্ধি  হবে আর ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋন দিতে পারবে। দেশে পুঁজি  বৃদ্ধি পাবে, পুঁজি বিনিয়োগ করে নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে উঠবে। দেশী  উতপাদনের উপরে দেশীয় ভোক্তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্য পন্যের মান উন্নত হবে। বিদেশী পন্য বাজার হারাবে। দেশেই থাকুন , দেশের উন্নয়নে নিজেরা অংশ নিন। ছোটখাটো ক্ষেত খামারের ব্যবসা দিয়ে শুরু করুন। কম আয় হবে, কিন্তু কারু গোলামী করা লাগবে না। নিজের ব্যবসার নিজেই মালিক। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এভাবেই উন্নত হয়েছে।  দেশে বা বিদেশে অনেক বাধা আছে। এইসব বাধা অতিক্রম করেই উন্নত বিশ্ব উন্নত হয়েছে। রাতারাতি কেউ উন্নত হয়নি আবার উন্নয়নের জন্য ভিত্তি স্থাপন না করেই কেউ মগডালে চড়ে বসেনি। আপনাকে দিয়েই শু্রু হোক এই ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের কাজ।  বাধাগুলোকে উপড়ে ফেলতে হবে সেজন্য যার যার মহল্লাতে সামাজিক সংগঠন ক্লাব ইত্যাদি গড়ে তুলুন । এলাকার সবাইকে নিয়ে আলোচনা করুন। কারা কারা এই এলাকাতে সমস্যা সৃষ্টি করছে – সবাই মিলে তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করুন। সমাধান ছাড়া কোন সমস্যা নেই।

খুজে বের করতে হবে সমাধান। সব সমস্যার আশে পাশেই সমাধান লুকিয়ে থাকে। প্রবাসে যারা থাকেন তারা সবাই সঞ্চয় করুন । বাজে খরচা করবেন না। কস্টের উপার্জনের সঠিক ব্যবহার করুন। আল্লাহ্‌ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।

 

৩ thoughts on “যারা বিদেশে আসতে চান তাদের জন্য কিছু ধারণা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *