‘আমি মধুর ভাষায় অভিনন্দন জানাই যাঁরা আজ বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করলেন। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই যে তারা দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো গতি নাই।’ এটা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার বক্তৃতা নয়। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন প্রধান একটি অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দেন।
আমাদের পুলিশ বাহিনীরা আওয়ামিলীগে যোগদান!
Posted by প্রবাস জীবন on Wednesday, January 20, 2016
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জনসভায় স্থানীয় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এ উপলক্ষে গত রোববার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে পরদিন সোমবার রাতেও হাতীবান্ধা উপজেলার টংবাঙ্গা ইউনিয়নের এসএস উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত অপর একটি যোগদান অনুষ্ঠানের মঞ্চেও ওসি আবদুল মতিনকে দেখা যায়।
গত রোববারের অনুষ্ঠানে ওই বক্তৃতা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওসি আবদুল মতিন বলেন, ওই অনুষ্ঠানে তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেননি। তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেছেন। এই প্রতিবেদকের কাছে বক্তৃতার ভিডিও আছে, এমন কথা বলার পর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবারও ওসি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেননি তিনি।
আমাদের কাছে থাকা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওসি মতিন স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেনের প্রশংসা করে বলেন, ‘এত পরিশ্রমী একজন সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এখন পর্যন্ত ফুল মিনিস্টার (পূর্ণমন্ত্রী) করা হয়নি। কারণ একটাই ঘটনা, ওই পাটগ্রামে যে ঘটনাটা ঘটাইছে। নেতিবাচক তাঁর বিরুদ্ধে ফলাও করা হইছে। ওখানে মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনা।’
আওয়ামী লীগের ওই জনসভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্য নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় গড্ডিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন ও তাঁর ভাই বিএনপির নেতা মোকলেছুর রহমান, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাক মাজেদসহ দল দুটির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ওসি ওই অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার সার্বিক বিষয়টি তদারকির একপর্যায়ে মঞ্চে আইন শৃঙ্খলা নিয়েই বক্তব্য দিয়েছেন। এই ব্যাপারে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে সাংসদ মোতাহার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
সুত্র- প্রথম আলো
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Rokto Kona liked this on Facebook.
Sumon Khan liked this on Facebook.
Asif Siddique liked this on Facebook.