অনেকেই স্বেচ্ছায় মূর্খ হয়ে থাকতে চায়। স্বেচ্ছামূর্খ হবার পেছনে যে রাজনীতি তা হলো জেনে শুনে না জানার ভান করে ব্রান্ডিং করা। যেমন আইসিস (ISIS or Islamic State of Iraq and Syria) সম্পর্কে সবাই খুব ভালভাবেই জানে যে এই সংগঠন আমেরিকা ও ইসরায়েলের সৃষ্ট তবু এদের কর্মকান্ডের যখন কেউ সমালোচনা করে তখন ইসলামকে টেনে ছেড়াছেড়ি করে। ইসলামী ব্যাংক যখন ডাকাতের হাতে কোটি টাকার চেক তুলে দেয় রানা প্লাজার নীচে মারা যাওয়া পোষাক শিল্পশ্রমিকদের পরিবারের সাহায্যের জন্য তখন কিন্তু কেউ বলেনা — আহা !! ইসলাম কত ভাল ধর্ম। ইসলামী ব্যাংকের মালিকেরা আসলেই ব্যাপক মুসলমান। কারণ ওরা ভালভাবেই জানে যে ডাকাতের হাতে কোটি টাকার চেক তুলে দিলে সেই টাকা রানা প্লাজার নীচে চাপা পড়া মৃত পোষাক শিল্প শ্রমিকদের আত্মিয় স্বজনেরা কিছুই পাবেনা। ইসলামী ব্যাঙ্ক মাঝে মাঝেই ডাকাতের হাতে কোটী টাকার চেক তুলে দেয় এই আশায় যে এই ডাকাতেরা ইসলামী ব্যাংককে শান্তিতে মুনাফা করতে দেবে বা গ্রামীন ব্যাঙ্কের মত পাজামা খুলে নিবেনা। ইসলামী ব্যাঙ্কের ইতিহাস জানা আছে। ডাকাতের বোনের হাতে তাই আগে ভাগে কোটি কোটি টাকার চেক তুলে দেয় যাতে কাজ কামে কোন অসুবিধা না হয়। এটা অনেকটা হিন্দি মুভির মতো। হিন্দি মুভিতে চান্দাবাজেরা আসে বাজারে, লাউ, কুমড়া, ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে দেয়, চান্দা চায় ঠিক তেমনি অবস্থা যাতে না হয় তাই আগে ভাগে টাই কোট লাগিয়ে চশমা পরিস্কার করে দাত মেজে মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে ডাকাতের আড্ডায় কোটি টাকার চেক নিয়ে হাজির হয় ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তখন দেখি দেশের সুশিল সমাজ বলেনা — আহা দেখো ইসলামী ব্যংকেরা সুদ খাওয়া হারাম করছে কিন্তু ডাকাতেরে চান্দা দেওয়া বন্ধ করে নাই। এই টাকা দিয়া ডাকাতে জাতীয় সংগীত গাইবার জন্য দেশের সকল স্কুলের মেয়েদের রোদের ভিতর মাঠের উপরে দাড় করিয়ে রাখবে আর পেছন থেকে ছেলেরা যৌণ হয়রানী করবে। “ইসলামী ব্যাঙ্ক ” এই নামের কারণ কি? কারণ হলো এই ব্যংকের একজন শেয়ারহোল্ডার আরব দেশের। এই লোকের অনেক টাকা। ইসলামী ব্যংকের সাথে যেমন ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই তেমনি আরব দেশের ইসলামের জন্ম হলেও আরব দেশের অনেক মানুষের সাথেই ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। সৌদী আরবের সাথে তো ইসলামের একবারেই কোন সম্পর্ক নাই।
এটাও কেউ বলেনা। আহা সৌদীদের সাথে আমেরিকানদের ইহুদীদের সাথে কত প্রেম কত ভালবাসা। দেখো ঈসলাম কত ভাল ধর্ম। নাঃ কেউ বলেনা। আজীব ব্যাপার।
আফগানিস্তানের নীচে দিয়া পাইপ লাইন করার দরকার হলো, ইরাকের তেলের খনী দখল করার দরকার হলো অমনি সেপ্টেম্বর ১১ বানিয়ে দুই দেশ আক্রমন করে বদনাম হইল কার? ইসলামের। মুসলমানেরা সবাই সন্ত্রাসী হয়ে গেল। মুসলমান দেশের খনিজ সম্পদ্গুলা সন্ত্রাসী না খালি সেই দেশে যারা বসবাস করে তারাই সন্ত্রাসী।
সবাই জানে কে সন্ত্রাসী
সবাই জানে কে খুনী
সবাই জানে কে ডাকাত
সবাই জানে কে চান্দাবাজ
সবাই জানে কে ধান্দাবাজ
সবাই জানে কে মিথ্যূক
দোষ দেয় ইসলামের । কারণ ইসলাম তো একটা দর্শনের নাম। ইসলামে বিশ্বাসীর সংখ্যা অনেক কম তবে ইসলামের বদনাম করার মানুষ অনেক বেশি। বাংলাদেশে যারা প্রতিদিন নানা অজুহাতে একবার ইসলামের বদনাম করে তাদের নামগুলো শুনলে মুসলমান মনে হয়। অমুক বেগম তমুক হোসেন অমুক মোহাম্মদ তমুক ইসলাম সব ই মুসলিম নাম। যার যার নাম বদল করেই ইসলামের বদনাম করা উচিৎ । আপনি চোর, আপনে দুর্নীতি করেন, আপনে ডাকাত, আপনে খুনী, আপনে ধর্ষক, আপনে মিথ্যাবাদী, আপনে ধান্দাবাজী ও প্রতরনা করে জীবিকা নির্বাহ করেন কোন অসুবিধা নাই – খামাখা তাহাজ্জুদের আলাপ করেন কেনো ? ইসলাম নিয়া ছেড়াছেড়ি বন্ধ করেন। মাদ্রাসা বন্ধ করে জুয়ার আড্ডা বসান, মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়া ইয়াবা চালানের কাজ করান কোন অসুবিধা নাই, ইসলামের আলাপ করেন কেনো ?? সবাই জানে কেনো করেন আপনিও জানেন যে সবাই আপনাকে জানে তবু আপনে ইসলামের কথা মাঝে মাঝে বলেন সেটা শুনলে কেউ বিস্মিত না হলেও আমি বিস্মিত হই এই ভেবে যে জ্ঞান হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি কোন অপরাধীকে শাস্তি পেতে দেখিনি। মৃত্যু শাস্তি নয়। মৃত্যূ মুক্তি। আপনি জানেন অপরাধীরা শাস্তি পায়না। অপরাধীরা সুখে থাকে। তাহলে আপনার কিসের ভয়? সবাই আপনাকে ভয় করে। আপনার তো কারুকে ভয় করার দরকার নাই। আপনি টাকা ছুড়ে মারেন যাদের মুখে সেই লোভী কুত্তার পাল বসে বসে আপনার মিথ্যাচার শুনে, আপনার অন্যায়কে রক্ষা করে, আপনার অপরাধকে চালিয়ে নিয়ে যায়, সবই কেনা যায় টাকা দিয়ে। আপনার কিসের ভয় ? আল্লাহ্র নাম নিয়ে তামাশা করার কি দরকার ? আপনি নিজেই তো ইশ্বর। বাংলাদেশের ভাগ্যবিধাতা। আপনার কিসের ভয় ?
Jahangir Kabir liked this on Facebook.