ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান আর তাদের সহযোগী রাজাকাররা কবে বাংলার মাটি ত্যাগ করবে? বাংলার মাটি থেকে এদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কি আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন অনুভব করছেনা কেউ? যদি না করে থাকে তাহলে কেনো করছেনা?
এক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে যখন অন্য আর এক হানাদার বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের প্রশাসনিক, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন চলে যায় তখন নতুন হানাদার বাহিনীর এজেন্টরা একটা মন্ত্র আওড়াতে থাকে দিনরাত।
সেই মন্ত্র হইলঃ
আমরা স্বাধীন (একটা মিথ্যা দশবার বললেই সত্য হয়ে যায়। আর এই মিথ্যা তো লক্ষকোটিবার বলা হয়েছে, হচ্ছে ও হবে)!!
তিন বা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা (যদি তাই হতো তাহলে কি প্রতিদিন বাংলাদেশে গনহত্যা চলতো ?)
তারপর একটা নির্দিষ্ট শ্রেনীর মানুষের পাছার ভেতরে সীল মেরে দেওয়া হলো – ওরা যুদ্ধাপরাধী (খেল খতম যুদ্ধাপরাধীর বিচার হজম। ইনি মিনি মাইনো মো যারে ছুবি সেই যুদ্ধাপরাধী। প্রমান, সাক্ষীসাবুদ কিছু লাগবেনা যাকে যুদ্ধাপরাধী বলা হবে সেই যুদ্ধাপরাধী। এই বিচারের নামে প্রহসন বা আদালতের বলাৎকার করার পরেও তো স্পষ্ট হয়ে যায় যে বাংলাদেশ বাংলাদেশের জনগণের জন্য নয়।)
স্বাধীন দেশে তো স্বাধীনতা যুদ্ধের দরকার নাই। এবারের হানাদার বাহিনীরা স্মার্ট। মন্ত্র দিয়া মগজ অবশ করে রাখছে। তাই এদেশে আর মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন অনুভব করেনা কেউ। এই হানাদার বাহিনীর শৃংখল থেকে কেউ মুক্ত হতে চায়না। সবা মন্ত্র জপে রাতদিন।
এক দল শকুনে রাতদিন উপরের মন্ত্রগুলা যপে, পত্রিকাতে, লেখাতে, কবিতায়, উৎসবে, খৎনাতে, বাসররাতে, শয়নে স্বপনে জাগরনে, টেন্ডার পেতে, ঘুষ পেতে, দুর্নীতি করতে, ধর্ষনে, গুমে, খুনে, জবাইয়ে- সব সময় এই মন্ত্র জপছে দুর্বৃত্তরা। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে চুরি করতে হবে, জবাই করতে হবে, ধর্ষন করতে হবে, প্রতিবাদীদের মিছিলে গুলি চালিয়ে প্রতিবাদীদের হত্যা করতে হবে, পুলিশ, র্যাব, আওয়ামীলীগের গুন্ডাদের প্রতিটি বুলেটে লেখা আছে এই মন্ত্র।
ভারতে নয় বাংলাদেশে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মসজিদ ভেঙ্গে পার্কিং লট তৈরি হচ্ছে, মসজিদ ভেঙ্গে রাজনৈতিক দলের অফিস হচ্ছে, মাদ্রাসা বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিকভাবেই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিবাদ করবে আর সেই প্রতিবাদী ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছে। মন্দিরে কোরআন পুড়ানো হচ্ছে। শিক্ষকেরা তাদের নায্য দাবী আদায় করতে এলে বলা হচ্ছে আপনারা সব বিসিএস পাশ করে আমলা হয়ে যান। সেটা একটা ভাল উপদেশ। তবে বিসিএস পাশ করে আমলা হতে হবে কেনো? কোন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না যেয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খাদেম লম্বা খামে ভরে নিয়া আসে পরিবারের সকলের জন্য ডিগ্রী সার্টিফিকেট। নিজেরা হিংস্র পশু হবার কারনেই সম্ভবতঃ এই পরিবারে কোন পশু ছিলনা। যদি পশু থাকতো তাহলে তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রী পেয়ে যেতো। যানজট দেখলে পুলকিত হয়ে উঠে মন – স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতির বই কোনদিন স্পর্শ না করেই বলা যায় কোন কোন খাতে আজকে চান্দা আসতেছে। সেজন্য টেক্সাসের মদের দোকান আর জুয়ার আড্ডাতে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা খুব জনপ্রিয়। নিজে এতিম তাই এতিমের কস্ট বুঝে শাপলা চত্বরে খরচা করা হয়েছিল ১৫৫০০০ রাউন্ড আর্মস এম্যুনিশন। এতিমদের কিছু লাশ পাওয়া গেছে বাকীগুলা গায়েব।
আমি শিক্ষকদের উপদেশ দিবো – সবাই আওয়ামীলীগে যোগ দিন। মোড়ে মোড়ে চান্দাবাজী করুন। তাতে অনেক টাকা । বাংলাদেশের সম্পদশালী লোকেদের বায়োগ্রাফী পড়ুন বা খুঁজে বের করুন আর সেভাবেই লুটপাট শুরু করুন। খামাখা শিক্ষকতা করে কি লাভ। প্রশ্নপত্র উত্তর সবকিছুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের মত আগেই ঠিক করা আছে। শিক্ষকদের তো আসলে কোন কাজ নেই। স্কুলে যেয়ে কাকে শিক্ষা দিবে? কি শিক্ষা দিবে? সেই একই মন্ত্র জপলেই সবাই এপাশ ওপাশ। সব শিক্ষকেরা স্কুল কলেজে না যেয়ে কামাড়ের দোকান থেকে কিছু রামদা আর পুতিনের সাথে হওয়া বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির আওতায় কিছু বেআইনি অস্ত্র রাখুন । কেউ টাকা না দিতে চাইলেই গুলি করে দিন। ব্যাস। বন্দুক যুদ্ধ হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হবে। সেলফ ডিফেন্স।
অনাদিকাল ধরে এভাবে চলতে থাকুক গনহত্যা, লুটপাট, ধর্ষন ।
Abdul Alim liked this on Facebook.
Abu Bakar Mohammed liked this on Facebook.
Toriquzzaman Khan liked this on Facebook.
Shahin Vai liked this on Facebook.
Rezina Akhter liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.