ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে শামীম ওসমান

কথামতো ট্রাফিকের ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকাটি তার নির্বাচনী আসনের বাইরে হলেও নগরবাসীর প্রধান সমস্যা ‘যানজট’ নিরসনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টার পর নেতাকর্মী ও তোলারাম কলেজ বিএনসিসি ক্যাডেটদের নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন।

প্রথমে শহরের চাষাঢ়ায় জিয়া হলের সামনে দাঁড়িয়ে মাইকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দিতে থাকেন এ এমপি। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যায় চাষাঢ়ার দৃশ্যপট। যানজট ছিল না বললেই চলে।

‘কীভাবে গাড়ি পার্কিং করা হবে, কোন গাড়ি কোন স্থানে দাঁড়াবে। রিকশা থাকা যাবে না। রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং থাকবে না’ সেসব নিয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন শামীম ওসমান। হঠাৎ মাইকে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যে হকচকিয়ে যান অনেক গাড়িচালক থেকে শুরু করে পথচারী ও বিভিন্ন দোকানে থাকা লোকজনও।

এর আগে রাইফেল ক্লাবে সকালে নেতাকর্মী ও বিএনসিসি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ জানিয়ে দেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা তিনদিন শহরে থাকবো। চাষাঢ়া মোড়, কালীবাজার মোড়, ২নং রেলগেট, ১নং রেলগেট- এ চারটি স্পটে আমরা শুধু ট্রাফিকদের কন্ট্রোল করবো। এ থেকে একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনদিন পর সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা তাদেরকে দিবো, যাতে তারা ওই পথ অনুসরণ করে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে পারে।’

এদিকে শামীম ওসামনের প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ট্রাফিকের ভূমিকায় উল্টোপাল্টা সিগন্যালে বিরম্বনা পোহাতে হয় গাড়িচালকদের। নিত্যদিনের জায়গায় যাত্রী না নামাতে পেরে যেমন গাড়িচালকদের বিরম্বনায় পড়তে হয়েছে তেমনি যাত্রীদেরও পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ। তারপরও শামীম ওসমানের অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উৎসব পরিবহনের গাড়িচালক বলেন, ‘শহরের যানজট সকালে অফিস টাইমে বেশি থাকে, আর দুপুর বেলায় খাবার সময় এমনিতেই কম থাকে। এসময় তেমন একটা যানজট সৃষ্টি হয় না।’

হিমাচল পরিবহনের গাড়িচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রতিদিন ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের পাশে নামানো হয়। কিন্তু আজ শামীম ওসমানের নির্দেষে এখানে না নামিয়ে আরো অনেক দূর নিয়ে নামাতে হচ্ছে। অনেক যাত্রীকে সেখান থেকে হেঁটে আসতে হবে। ওনার উদ্যোগটা ভালো এতে গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু শহরের অবৈধ রিকশা এবং রাস্তার পাশের পার্কিং বন্ধ করতে হবে।’

অন্যদিকে গত ১০ জানুয়ারি শামীম ওসমানের ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জের শহরের চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকার দূরন্ত বাস সার্ভিসের দখল করে রাখা রাস্তা ছিল উন্মুক্ত। শহরের কয়েক ফুটের রাস্তায়ও ছিল না তেমন কোনো হাকর বা কোনো দোকানদার। প্রতিদিনের নিয়মিত চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় রিকশার জটলাও সকাল থেকে তেমন একটা দেখা যায়নি।

শামীম ওসামনের যানজট নিরসনে সহযোগিতায় ছিলেন সরকারি তোলারাম কলেজের ২৫ ও সরকারি মহিলা কলেজের ১৫ বিএনসিসির সদস্য, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।

৪ thoughts on “ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে শামীম ওসমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *