জামাতে ইসলাম ও তাবলীগ জামাত – বিরোধ প্রশ্নবিদ্ধ

এক ঘরে তিন পীর নেহী রাহ সাকতা।

রাজনীতি বাদ দিয়ে যদি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্টা ও সংরক্ষণের জন্য মানুষের সংগ্রামের আলোকে ইসলামের দর্শনের কথা চিন্তা করা যায় তাহলে দেখা যাবে জামাতে ইসলাম ও তাবলীগ জামাত “ইসলামের আদর্শ” থেকে বিচ্যুত। এখানে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই।

জামাতে ইসলামের বিশাল কর্মী ও সমর্থকেরা আছেন “নেতাদের জানাজাতে” শরীক হয়ে ফোটো নিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে “ইহকালে জান্নাতের সার্টিফিকেট” হাসিল করার জন্য। যেসব নেতারা আওয়ামীলীগের সাথে সমঝোতা করে আওয়ামীলীগের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের জীবন হারিয়েছে অকারণে তারা “শহীদ” বলে দাবী করে সুস্পস্টভাবেই ইসলামের বিরোধীতা করছেন। মালিকের হাতে যদি ভৃত্যের ফাঁসী হয় আর এই ভৃত্য যদি নিজেদের অপরাধী ভেবেই মালিকের তাবুর নীচে আশ্রয় নিয়ে থাকে আর “ইসলাম”কে ব্যবহার করে নিজেদের হালুয়া-রুটি উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে তাহলে “ভৃত্যের ফাঁসী” মালিকের হাতে একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে। শহীদ নয় ।

জামাত শিবিরের কর্মীরা তাবলীগি ভাইদের কটাক্ষ করেন কারন জামাতে ইসলাম যা করতে চেয়েছিল ঠিক একই কাজ তাবলীগ জামাত করছে । সেই কাজটি হলো “আওয়ামীলীগের তাবু”র নীচে থাকা। “আওয়ামীলীগের তাবু” থেকে জামাত আউট আর “আওয়ামীলীগের তাবু”র ভেতর তাবলীগ ইন – এই হলো দুইটি সুবিধাবাদী ভন্ড দলের ভেতরে বিরোধের মূল কারণ।

তাবলীগ জামাত বিশ্ব এজতেমা করে যে প্রচুর পরিমান অর্থ অপচয় করছে সেই পরিমান অর্থ যদি বাংলাদেশের গৃহহীন কর্মঠ মানুষ যারা আকাশের নীচে ঘুমায় আর গার্বেজ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা ও তাদেরকে মানুষের মত বেঁচে থাকার জন্য সুযোগ সৃষ্টির পেছনে খরচা করা যেতো তাহলে কিছুটা “ইসলাম” পালন করা হতো। ইজতেমার মোনাজাত আল্লাহ কবুল করবেন না যদি একই এলাকাতে আল্লাহর সৃষ্টিকে প্রতিদিন অমানবিকভাবে  জীবনযাপন করতে হয়। অনেকেই মনে করে অসৎ ভাবে টাকা উপার্জন করা একটা দক্ষতা, অন্যকে ঠগিয়ে টাকা মারা একটা আর্ট আর যারা রাস্তায় ঘুমায় আর গার্বেজ থেকে খাবার খায় এটা তাদের ভাগ্যের দোষ। ইসলাম যুক্তির ধর্ম। ভাগ্যে বিশ্বাস করতে বলা হয়না। কাজ করতে বলা হয় তাও মানুষের জন্য। মানুষের সেবাই ইবাদত । আল্লাহর সৃষ্টিকে ধবংস করে নয় সংরক্ষণ করেই আল্লাহর ইবাদত করা যায়।

আমার জানামতে সারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে বহু মানুষ আসেন বিশ্ব এজতেমায়।  এরা বিভিন্ন পেশার মানুষ। দেশের বহু ধনী ব্যক্তিরা এখানে আসেন। বহু চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ আমলা, খুনী পুলিশ বুড়া হয়ে গেলে যোগ দেন তাবলীগে আর ভাবেন “ ইসলামের দাওয়াত” দিয়েই বাজিমাৎ করে পেড়িয়ে যাবেন সেরাতের পাড়। এইরকম আজগুবী চিন্তা তারাই করতে পারে যারা অপরাধকে নিয়ম হিসাবে দুনিয়াতে প্রতিষ্টিত করেছেন। আর এইকারনেই তাবলীগ জামাতের কপালে “আওয়ামীলীগের” সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। চোখ, কান, নাক, বন্ধ করে সবাই চিৎকার করে আওয়ামীলীগ, শেখ মুজিব ও তার পরিবারের গুণগানে মুখর হবার কারণ একটায় – তাহলো “অপরাধের মাধ্যমে টিকে থাকা” ।

অপরাধের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। তাবলীগ জামাতকে “ইসলামের অবমাননা” করার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিৎ । একই কারনে “জামাতে ইসলাম” ও তাদের ছাত্র সংগঠন “ছাত্রশিবির” কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিৎ যেহেতু এরাও “ইসলাম” এর নামে ব্যবসা করে। জামাতে ইসলাম ও তাবলীগ জামাত দুই দলকে বিলুপ্ত করে দলের সকল নেতা কর্মীর “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে” যোগদান করা উচিৎ তাহলে অন্তত “জনগন স্বীকৃত ও অনুমোদিত মিথ্যাচার, চুরি, দুর্নীতি, ধর্ষনের” মাধ্যমে গর্বের সাথে ওরা জীবনযাপন করতে পারবে এবং অবমাননার হাত থেকে “ইসলাম “ রক্ষা পাবে।

আল্লাহ্‌ তার প্রিয় ফেরেস্তা শয়তানকে মুক্ত করে দিয়েছেন আর তার প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে সাবধান করে দিয়েছেন এই বলে যে এই শয়তান ধার্মিক রুপে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে ।

৫ thoughts on “জামাতে ইসলাম ও তাবলীগ জামাত – বিরোধ প্রশ্নবিদ্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *