স্বামীকে ২৯ ঘণ্টা ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ৪০ বছর বয়স্কা ওই নারী তাঁর স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত ১৭ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ছাড়া এর আগেও বহুবার ওই নারী স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় সিউলের একটি আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, কিম ওই নারীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চেষ্টা করছিলেন ‘ধর্ষিত’ পুরুষ। এই ব্যাপারে কথা বলতে তিনি স্ত্রীর বাসায় যান। এ সময় পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্ত্রী তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলা হয়। এরপর ওষুধ খাইয়ে উত্তেজিত করে স্বামীকে ধর্ষণ করেন স্ত্রী। এ ছাড়া স্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁকে আটকে রাখা, মারধর এবং হাতুড়ি দিয়ে মারার অভিযোগও করেছেন স্বামী।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি পারিবারিক আদালত জানিয়েছেন, দেশটিতে এ ধরনের মামলা এই প্রথম। স্ত্রীর হাতে নির্যাতনের অভিযোগ আগে এলেও স্বামীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন নজির তেমন নেই। এমনকি ২০১৩ সালের আগে পারিবারিক সহিংসতাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা হতো না দক্ষিণ কোরিয়ায়।
২০১৩ সালে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণকেও অপরাধ বলে চিহ্নিত করেন। তবে এ অপরাধের জন্য পারিবারিক আদালতে ধর্ষণের সমান কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া কোনো স্ত্রী ধর্ষণ করলে কী সাজা, সেটাও আইনে চিহ্নিত করা নেই।
এদিকে সংবাদমাধ্যম দ্য মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বামীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিম ডাকনামের ওই নারী। তিনি স্বামীকে আটকে রাখা, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত সব অভিযোগই স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন।
Sunaly Dashi liked this on Facebook.
Shafiqur Rahman Munna liked this on Facebook.
Shahin Vai liked this on Facebook.