ভারতের প্রথম নোবেলজয়ীর কীর্তি নিয়ে উত্তাল প্রতিবেশী চীন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনবার চীন সফর করেছিলেন। সেখানের সাহিত্য জগতের লোকদের সঙ্গেও মতের আদান-প্রদান হয়েছিল তাঁর। চীন নিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতেও সাহিত্য রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সব কীর্তি স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু, বিশ্বকবির রচনাবলীর কিছু অনুবাদ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পরিব্রাজক ফা হিয়েনের দেশে। সম্প্রতি এক চৈনিক অনুবাদক ফেং তাং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশকিছু রচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন। পেশায় চিকিৎসক এবং এমবিএ পাশ করা এই অনুবাদকের লেখা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ফেং তাং-এর অনুবাদ অশ্লীলতায় ভর্তি বলে মন্তব্য করেছেন ওই দেশেরই এক কলম লেখক রেমন্ড ঝাউ।
চীনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি কলমে ঝাউ লিখেছেন, অনুবাদের প্রথম শর্তই হচ্ছে তা যেন মূল রচনা থেকে আলাদা না হয়ে যায়। নিজের মতো তো একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু, ফেং তাং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলীর অনুবাদ করতে গিয়ে ভুরি ভুরি অশ্লীল এবং অভদ্র শব্দ ব্যবহার করেছেন। চীন নিয়েও সাহিত্য রচনা করেছিলেন বাঙলাভাষী রবীন্দ্রনাথ। তাই, ফেং তাং-এর অশ্লীল অনুবাদ ভারত-বাংলাদেশ সহ সমগ্র চীনের অপমান বলেও তাঁর কলমে লিখেছেন ঝাউ।
একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, রবীন্দ্র রচনাবলীর অনুবাদ করে ফেং তাং নিজের কাঁচা হাতের পরিচয় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছেন। আসলে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর জন্যেই ফেং তাং বিশ্বকবির সৃষ্টিকে অশ্লীল ভাবে ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঝাউ। চীনের সরকারি সংবাদপত্র চিনা ডেইলিতে প্রকাশিত হয়েছে রেমন্ড ঝাউয়ের কলম। রাজধানী বেইজিং সহ গোটা দেশে বেশ জনপ্রিয় কলমটির শিরোনাম ‘লুস্ট ইন ট্রান্সলেশন’। যার বাংলা অর্থ, ‘অনুবাদের লালসা’।
Moin Khan liked this on Facebook.
Tania Chowdhury liked this on Facebook.
Arabinda Roy Chaudhury liked this on Facebook.