গার্বেজ বিনের খাবারকে এখন আর নোংরা বলা যাবেনা। কারন বহু মানুষ এই খাবার খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আর জনগনের প্রতিনিধি বলা যাবেনা। জনগনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চিন্তাভাবনা করার সময় পায়না। ক্ষমতা পাবার চিন্তা ভাবনা করেই এদের দিন চলে যায়। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন – আন্দোলন করে কিছু হবেনা নির্বাচনে যেতে হবে। এতদিন উনি বলেছেন কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দেওয়া হবে। এই কর্মসূচী দেবে দেবে করে পুরা ২০১৪ সালের শেষে এসে অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দিলেন ফলে বিএনপি ও তাদের জোটের কর্মীদের সবাইকে গ্রেফতার করে মেরে ধরে বিশ পচিশটা মামলা খাইয়ে বাংলাদেশের জেলগুলা ভরে ফেলা হলো । কিছুদিন বিদেশে ভ্রমণ করে এসে খালেদা জিয়া দেশে ফিরে এলেন তারপর কিছুদিন নিশ্চুপ থেকে এখন নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য কোমড়ে শাড়ি পেঁচালেন । দলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা জেলে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। কেউ অসুস্থ কেউ পঙ্গু কেউ বা মৃত্যুর দিন গুনছেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই তিনবারের মত এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। ক্ষমতায় যাওয়াই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে আর নেতাকর্মীদের জেলে রেখেই যদি সিটি কর্পোরেশন, মিউনিসিপালিটির নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় তাহলে ভালই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তখন বেনজীর গার্ড অফ অনার দিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল থেকে বের করে নিয়া আসবে। গুরুত্বপূর্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসাবে এই সিদ্ধান্ত মন্দ নয়। পৌরসভার নির্বাচন করলেই কি ক্ষমতায় যাওয়া যাবে ? বিদায়ী ভারতের রাস্ট্রদূত শরণ বলে গেছে ভারত আওয়ামীলীগ সরকারকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। ভারত যাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় তারই ক্ষমতায় থাকা উচিৎ । সবাই আওয়ামী-লীগে যোগ দিয়ে সুখ দুঃখ সব ভাগ করে নিন।
বেগম খালেদা জিয়া অন্য একটি ভাষনে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন — উনি ক্ষমতা পেলে পুলিশের বিচার করবেন না কারন পুলিশেরা সরকারের নির্দেশে মানুষ হত্যা করছে। তাহলে খালেদা জিয়া ধরেই নিয়েছেন উনি ক্ষমতায় যাবেন ? দেশের সকল অপরাধীকে ডেকে ডেকে বলছেন “তোমাদের আসলে কোন দোষ নাই” যত দোষ নন্দ ঘোষের। সবাই কি মানুষ হত্যা করতে সক্ষম? আমাকে যদি কেউ মানূষ হত্যা করার নির্দেশ দেয় আমি কি মানুষ হত্যা করবো ? করবোনা। জীবন তো অমূল্য। টাকা দিয়ে তো জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যায়না। যারা মানুষ হত্যা করছে তারা হত্যা করতে সক্ষম বলেই করছে। তারা অমানুষ বলেই করছে। তাদের অনেকেই বিএনপির কর্মী হত্যা করেছে। পেশাদার খুনীদের পুলিশের পোষাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটা খালেদা জিয়া জানেন। উনার এই আশ্বাসে বিশ্বাস করে সকল পুলিশ ও পুলিশ কর্মকর্তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচিত করলেও করতে পারে। ক্ষমতা চায়। যেকোন মূল্যে। এর আগেও খালেদা জিয়ার চতুর্পাশে ছিল আন্দালীব রহমান পার্থ, কাদের সিদ্দিকীর মত গিরিগিটিরা যারা সবাই আওয়ামীলীগের সন্তান। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টারাই খালেদা জিয়াকে সব সময় ডূবিয়েছে। খালেদা জিয়ার পেছনে যেসব পুঁজিপতিরা কলকাঠি নাড়ছে তারা যার যার নিজেদের মুনাফার কথা চিন্তা করেই খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে উলটাপালটা সিদ্ধান্ত দিয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারেন নাই। মাঝখান দিয়ে কিছু মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। কিছু মানুষ ভুয়া মামলা খেয়েছে। কিছু মানুষ রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ও খালেদা জিয়ার পেছনে অপেক্ষান দুর্নীতিবাজ টিম বি’র জন্য । টিম এ এখন পারিবারিক সরকার গঠন করে বাংলাদেশ সরকার প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্টা করে চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন চালাচ্ছে। খালেদা জিয়ার পেছনে অপেক্ষামান টীম বি এখন এ্কই সূযোগ পেতে চায়। সেজন্য খালেদা জিয়া কোন অপরাধীর বিচার করবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। জিয়া যেমন রক্ষীবাহিনীর অপরাধের বিচার করেননি। অপরাধীরা সবাই চাকুরীতে বহাল থাকবে তবে তারা তখন অপরাধ করবে খালেদা জিয়ার পেছেন অপেক্ষামান টীম বি’র জন্য।
Moin Ahmed liked this on Facebook.