“যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু।”

“ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টার ফলেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে” এমন দাবি করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ঘোষণা দিয়েছেন, “যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু।”
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির ‘বাংলার বিজয় উৎসবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’তে উপস্থিত হয়ে আমু এ মন্তব্য করেন।
গত ৫ জুন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধীদের কোনো ঠাঁই নেই। এর ছয় মাস পর আমু ভারত বিরোধীদের বাংলাদেশের শত্রু ঘোষণা করলেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টার ফলেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী সম্পর্কের মাধ্যমেই এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “যারা বাংলাদেশকে ভারতের দালাল মনে করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানকেও অস্বীকার করে।”
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত অস্ত্র-প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছিল। এমনকি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য বিশ্ব সফরে গিয়েছিলেন।”
আমু বলেন, “বর্তমান সময়ের স্বাধীনতা বিরোধীরা পেট্রোল বোমা মেরে, বাস-গাড়ি পুড়িয়ে আন্দোলনের নামে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি গণহত্যাকারীদের মত নব্য এসব গণহত্যাকারীদেরও বিচার করা উচিৎ”।
এদিকে ভারত বিরোধীদের বাংলাদেশের শত্রু ঘোষণার সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক ও তথ্য বিষয়ক সচিব শ্রী রাজেস উইকি।
উইকি তার বক্তৃতায় বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে মৈত্রী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা আগামীতেও অটল থাকবে।”
সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী প্রমুখ।

উৎসঃ অনলাইন বাংলা

২ thoughts on ““যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *