যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী হিসেবে বিএনপির বিচার হওয়া উচিৎ

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন অনুসরণ করা হচ্ছে। সেই সময় আইন হলেও পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান, তারপর এরশাদ এবং খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কালক্ষেপন, তাদের আড়াল ও সহযোগিতার জন্য শুধু জামায়াত নয় বিএনপিরও বিচার হওয়া উচিৎ।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘স্বজনদের স্মৃতিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তাদের আইনজীবীরা শিমলা চুক্তি নিয়ে যুক্তি দিয়ে থাকেন। সেখানে তারা এ চুক্তির দোহাই দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে মেনন বলেন, শিমলা চুক্তিতে কী আছে আপনারা ভালো করে পড়ে বুঝে এরপর এসব কথা বলুন।

তিনি বলেন, শিমলা চুক্তি হয়েছিল পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। সে চুক্তির আওতায় ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর তাদের নিজ দেশে বিচার করা হবে মর্মে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেনি। এতে তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যদি আপনার এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার না করেন তাহলে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা যেতে পারে। তাছাড়া কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে পাকিস্তানকে শিমলা চুক্তি মেনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, একটা ইতিহাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সাংবাদিকদের মধ্যে দেশ স্বাধীন হওয়ার চেতনার জন্ম দেয়ার জন্যই বুদ্ধিজীবী দিবসের এ আলোচনার আয়োজন। একই সঙ্গে বহু বছর যেসব বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের বক্তব্য চাপা পড়েছিল, এ আলোচনার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবী সন্তানদের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

ডিআরইউ সভাপতি সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকা, জাপান মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বে রুপান্তরিত হয়েছে। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ আমেরিকা, জাপানের মতো উন্নত হতো।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়ারেছাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীকসহ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।

৯ thoughts on “যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী হিসেবে বিএনপির বিচার হওয়া উচিৎ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *