বিজয় ৭১ এর পিছে আপনার ছবি তার পিছে আছে পুলিশ

ওরা আপনার ভোট চায়না। কারণ ওরা ভোটে স্বয়ংসম্পুর্ন। নিজেরাই নিজেদের নির্বাচিত করে নিজেরাই নিজেদের সংসদ সদস্য বানিয়ে নিজেরাই নিজেদের মন্ত্রী বানিয়ে নিজেরাই বাংলাদেশের সরকার হয়ে বসে আছে। সরকার নির্বাচিত করতে বাংলাদেশে এখন আর জনগনের দরকার হয়না। বাংলাদেশ সরকার এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওরা আপনার নাম, ঠিকানা, গ্লোবাল্ পজিশনিং সিস্টেম দিয়ে ওরা খুঁজে বের করে ফেলবে আপনি কোথায় অবস্থান করছেন।। ওরা জানতে চায় আপনি ব্যক্তি মালিকানাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলছেন কিনা। ওরা আপনার নাম ঠিকানাতে চাল, ডাল, তরিতরকারী, শীতের কম্বল পাঠাবেনা। আপনার বাসাতে পুলিশ পাঠিয়ে আপনাকে গ্রেফতার করবে অথবা গুলি করে মেরে ফেলবে। যদি গুলি না করে তবু নিদেনপক্ষে দশ বিশটা মামলা তো আপনাকে খেতেই হবে। তারপর সাড়া জীবন ঝুলে থাকতে হবে ওদের ফাঁদে। দেখুন বিজয় দিবসের পতাকার পিছে কি আছে। আপনার ছবি আছে। আর আছে একটি ফাঁদ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে কারু নাম ঠিকানা দেয়নি। কারু ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারুকে দেওয়া আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে অনেকগুলো মামলা হয়ে গেছে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার কারণে। অনেকেই অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ফেসবুকে যেসব এপস সফটওয়ার (application software) আছে – গেম, অথবা জাতীয় পতাকা দিয়ে প্রফাইল সাজানো, অথবা আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য সবগুলো এপসই ব্যক্তিগত তথ্যও সংগ্রহ করে । যেসব প্রগ্রামাররা এই এপস বানিয়ে ফেসবুকে দিয়েছে তাদের কাছেই জমা হবে যারা এই সব এপস ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। “বিজয় ৭১” নামের সরকারের এই এপস যা ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে তা একটি ফাঁদ। এই ফাদের মাধ্যমেই সরকার আপনার নাম, ঠিকানা, অবস্থান, সংগ্রহ করবে যা তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারে নাই।

বিজয়ের আনন্দ ফিকে হতে না হতেই আপনার বাসাতে দরোজা ভেঙ্গে পুলিশ বা র‍্যাব প্রবেশ করবে।
এইটাও বিজয় দিবসের একটি উৎসবের মত। বাংলাদেশ সরকার প্রাইভেট লিমিটেডের বিজয় দিবসের উপহার “বিজয় ৭১”। ভুল করেও এই ফেসবুক এপস এ ক্লিক করবেন না। যারা করেছেন তারা ডিলিট করে ফেলুন। ফেসবুক একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে ফেলুন।




৫ thoughts on “বিজয় ৭১ এর পিছে আপনার ছবি তার পিছে আছে পুলিশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *