ইসলাম অনুসারে আমাদের নবীদের নামের তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
হজরত আদম আঃ (آدم) যিনি আমাদের প্রথম নবী।
হজরত ইদরিস আঃ (إدريس)
হজরত নুহ (আঃ) (نوح)
হজরত হুদ আঃ (ھود)
হজরত সালে আঃ(صالح)
হজরত ইব্রাহীম আঃ (إبراهيم)
হজরত লট আঃ (لوط)
হজরত ইসমাইল আঃ (إسماعيل)
হজরত ঈসাক আঃ (إسحاق)
হজরত ইয়াকুব আঃ (یعقوب)
হজরত ইউসুফ আঃ (یوسف)
হজরত আয়ুউব আঃ (ایوب)
হজরত ধুল-খিফ্ল আঃ (ذو الکفل)
হজরত সোয়েব আঃ (شعیب)
হজরত মুসা আঃ (موسى)
হজরত হারুন আঃ(ھارون)
হজরত দাউদ আঃ (داود)
হজরত সোলায়মান আঃ (سلیمان)
হজরত ইউনুস আঃ (يونس)
হজরত ইলিয়াস আঃ (إلياس)
হজরত আলিসা আঃ (الیسع)
হজরত জাকারিয়া আঃ (زکریّا)
হজরত ইয়াহিয়া আঃ (يحيى)
হজরত ঈসা আঃ (عيسى)
হজরত মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ সাঃ (محمد)
আমরা যারা মুসলমান তারা হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত, অনুসারী এবং বিশ্বাস করি উনিই শেষ নবী। উনার আগের সব নবীকেই আমরা শ্রদ্ধা করি । সবাই আল্লাহ্র প্রেরিত নবী। এর আগের নবীরা আমাদের কাছে যে বার্তা এনেছেন সেই বার্তাকে আমরা বলি “আহলে কিতাব” । আমরা আরো বিশ্বাস করি, নবী করীম মোহাম্মদ সাঃ আল্লাহ্র রাসুল ।
সকল প্রানী ও জগত আল্লাহ্র সৃষ্টি । যুগে যুগে আল্লাহ্ নবীদের পাঠিয়েছেন আল্লাহ্র সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য। সেজন্যই একজন নবী কোন বিশেষ এলাকার মানুষের জন্য নন তিনি সাড়া বিশ্বের সবার নবী। একজন রাসুল সাড়া বিশ্বের সকল মানুষেরই রাসুল যারা রাসুলকে অনুসরন করবে। মুসলমানের কোন দেশ নাই, সাড়া বিশ্বের সকল মুসলমান যারা হজরত মোহাম্মাদ সাঃ কে অনুসরন করেন তারা সবাই এক জাতি, এক দেশ (বিশ্ব), এক আল্লাহ্ ও তার রাসুলে বিশ্বাসী। অনেকেই বলে “মুসলিম বিশ্ব” বা “মুসলিম দেশ” – এই কথাটি ঠিক নয়। সাড়া বিশ্বের যেখানেই মুসলমানেরা (যারা নবী করিম সাঃ এর অনুসারী) বসবাস করেন তারা সবাই এক জাতি। আমাদের উপরে নির্দেশ আছে আর্থিকভাবে ও সমবেদনা নিয়ে এঁকে অন্যের বিপদে পাশে দাড়ানোর জন্য। আমরা বিশ্বাস করিঃ আগের সব নবীও ইসলাম ধর্মই প্রচার করেছেন। এইসব নবীদের মধ্য তাই কোন বিভেদ নাই। উনারা সিনিয়র নবী ছিলেন। কোরাআনের সুরা আস-সুরা ৪২, আয়াত ১৩(১৯) এ সুস্পষ্টভাবে বলা আছে ইসলাম প্রচারের জন্য আগের সব নবীদের বিশেষ ভূমিকার বিস্তারিত বিবরন দেওয়া আছে, এর মধ্য হজরত নুহ আঃ হজরত ইব্রাহীম আঃ, হজরত মুসা আঃ, হজরত ঈসা আঃ উল্লেখযোগ্য আর সেক্ষেত্রে কোন বিভেদ সৃষ্টি করা যাবেনা। এক এক জন নবী এক একটি দিক ফলক।
The same religion has He established for you as that which He enjoined on Noah—the which We have sent by inspiration to thee—and that which We enjoined on Abraham, Moses, and Jesus: Namely, that ye should remain steadfast in religion, and make no divisions therein:…
— Quran, sura 42 (Ash-Shura), ayah 13[19]
যখন আমরা গীর্জাতে যাই তখন এক বিশাল শ্বেতাঙ্গ মূর্তি দেখি। হজরত ঈসা আঃ কি শ্বেতাঙ্গ ছিলেন? হজরত ঈসা আঃ মা মরিয়মের গর্ভে বেথলহেমে জন্মগ্রহন করেন।
বেথেলহেম হলো জেরুজালেম থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার দূরে পালেস্টাইনের একটি শহর । প্যালেস্টাইনীরা সাধারণত অলিভ বর্ণের বা দুধে আলতা বর্নের হয় । গীর্জার মূর্তির ভদ্রলোকের মত কি হজরত ঈসা আঃ এর চেহারা ছিল? তাহলে আমরা আর কোন নবীর চেহারা বা ফটোগ্রাফ দেখিনা কেনো? গীর্জার ঈসা আঃ হলো মানুষের কল্পনার ছবি। এই কল্পনা কে করেছে? কেনই বা করেছে? কে প্রথম ভেবেছে যে হজরত ঈসা আঃ এর একটি রুপ দেওয়া দরকার। আর সে রুপ হবে শ্বেতাঙ্গ রুপ, নীল চোখ ( প্যালেস্টাইনীদের চোখের মনির রং বাদামী হয়), ছিপছিপে মেদহীন, গোটি বা ছাগল দাঁড়ি, লম্বা চুল, এইসব কিছুই কার সাথে যেন হুবহু মিলে যায়। বহু যুগ আগের ম্যাসেডোনিয়ান, গ্রীক, রোমান, ফ্রেঞ্চ, বৃটিশ বা স্প্যানিশদের ছবি যদি দেখা যায় তাহলে যীশু খ্রীষ্ট রুপে গীর্জার মূর্তিটির সাথে অনেক মিল খুজে পাওয়া যাবে।
নীল নয়না শ্বেতাঙ্গ হজরত ঈসা আঃ এর এই রুপ দেবার অনেকগুলো কারণ ছিল। রোমানরাই হজরত ইসাঃ আঃ কে হত্যা করার জন্য বন্দী করে এবং ইহুদীদের হাতে সমর্পিত করে। ইহুদীরা হজরত ঈসা আঃ কে হত্যা করে। পরবর্তীকালের সব উপনিবেশিক শক্তিগুলো যখন সম্পদশালী দেশগুলোতে সেই দেশের সম্পদ লুট করার জন্য যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের দুর্বলতা ও শক্তিগুলোকে পরোখ করে। শক্তিগুলোকে পরাভূত করে দুর্বলতাগুলোকে খুঁচিয়ে সেই দেশের মানুষকে আবেগ ও আশাতে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সেই দেশের সম্পদ লুট করে। হজরত ঈসা আঃ কে শ্বেতাঙ্গরুপে সেইসব দেশের মানুষের হৃদয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পদ লুট করে, সেইসব দেশের মানুষের হাতে ভিক্ষার বাসন ধরিয়ে, সবার হৃদয়ে যিশুখ্রীষ্টকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর বলা হয়েছে কোন চিন্তা নাই, যীশু তোমাদের রক্ষা করবেন। নবীরা এসেছিলেন মানুষকে রক্ষা করতে আর লুটেরা আছে সেই নবীকে ব্যবহার করে মানূষের সম্পদ লুট করতে।
সাড়া বিশ্ব থেকে সম্পদ লুট করে এনে যার যার নিজ দেশে রাজা হয়ে বসার পরে রাজারা দেশেও কিছু সমস্যার সন্মুখী হতেন। তাহলো প্রজারা মাঝে মাঝে বিদ্রোহ করে বসতো বা আনুগত্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানাতো। প্রজাদের শোষন করার জন্য, রাজার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করানোর জন্য যীশুখ্রীষ্টের চোখের রং করা হয়েছিল নীল । একজন নীল নয়না প্রজা একজন নীল নয়না নবীকেই মান্য করবে। সব উপনিবেশীক শাসকেরাই এক হাতে তলোয়ার বা বন্দুক অন্য হাতে বাইবেল বা পাত্রী রেখে দিতো। ধর্ম দিয়ে যদি ঘায়েল না করা যায় তাহলে তলোয়ার বা বন্দুক দিয়ে ঘায়েল করা হবে। সম্পদ লুট করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আর এভাবেই হজরত ঈসা আঃ হয়ে গেলেন নীল নয়না শ্বেতাঙ্গ যীশুখ্রীষ্ট। মানুষকে বশ করার জন্য শোষকেরা অনেক কিছুই ব্যবহার করেছে তার ভেতরে ধর্ম ও মাদকদ্রব্য অন্যতম। এছাড়া রয়েছে মুভি, গান, কবিতা, লেখা, কমেডি, শান্তি পুরস্কার, ইত্যাদি দিয়ে সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক বশীকরণ। আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার সম্পদশালী সব দেশই লুট করে উন্নত হয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ। পেছনে ফেলে রেখে এসেছে এইচআইভি এইডস, ড্রাগস, নিজেদের ভেতরে ঘৃনা ও হানাহানি আর নীল নয়না যীশুখ্রীষ্টকে।
Abdul Alim liked this on Facebook.
MadZy Anik MoLlick liked this on Facebook.
Imran Khan liked this on Facebook.