Crossfire ক্রসফায়ার একটি জনপ্রিয় ভিডিও গেম এর নাম।
জনপ্রিয় খেলা ক্রসফায়ার
এই খেলাটি বাংলাদেশেও খুব জনপ্রিয়। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও জাতীয় স্পোর্টস ক্রসফায়ার। এই ক্রসফায়ার শব্দের অর্থ কি? ক্রসফায়ারের সংজ্ঞা হলো
gunfire from two or more directions passing through the same area একটি নির্দিষ্ট এলাকাতে দুই বা তার অধিক দিক থেকে বন্দুকের গুলির আদান প্রদান। এই ক্রসফায়ার শব্দকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে গেলে দুই বা অধিক দিক থেকে বন্দুকের গুলির আদানপ্রদান হতে হবে। যদি একজন হাত বাঁধা নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় তাহলে সেটা ক্রসফায়ার নয়।
সেটা হত্যা।
যারা বাংলাদেশের মালিক তারা বাংলাদেশের জনগনের মালিক তারা ইচ্ছা করলে যেকোন মানুষকে দিনে দুপুরে খোলা আকাশের নিচে দেশের সব টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দেশের সব সাংবাদিক, লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবি, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানের সামনে মসজিদের উপরে গুলি করে হত্যা করতে পারে। এটা কোন ব্যাপার না। তাহলে ক্রসফায়ার শব্দ ব্যবহার করার কি দরকার ছিল?
এই শব্দটি সেক্সি। থ্রিলার এ্যাকশন এক কাপুরুষ কল্পনা করে যে সে এক বীরের সাথে বন্দুক যুদ্ধ করছে। বীরকে হাত পা বেঁধে তাকে গুলি করে আর ভাবে যে সেও তাঁকে পালটা গুলি করছে এইসব ভাবতে ভাবতে কাপুরুষ তার পাজামা বা পেটিকোটে প্রস্রাব করে দিয়ে গুলি করতে নির্দেশ দেয় এবং সবাইকে জানায় এটা একটা বন্দুক যুদ্ধ ছিল। ক্রসফায়ারে মারা গেছে। সত্য কথা বলার সাহস নেই কাপুরুষের।
১৯৭৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের রাত ছিল কালরাত্রী । ১৯৭৫ সালের ১লা জানুয়ারীতে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ও শেষ মার্কসবাদী নেতা দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সিরাজ সিকদারকে। কমরেড সিরাজ সিকদার ছিলেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির নেতা। পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি ও কমরেড সিরাজ সিকদার ছিল আওয়ামীলীগের জন্য একটি ত্রাসের নাম। ২রা জানুয়ারীতে বলা হলো ক্রসফায়ারে কমরেড সিরাজ সিকদার নিহত হয়েছে। সংসদে এসে কাপুরুষ হুঙ্কার দিলো – কোথায় এখন সিরাজ সিকদার? বুঝিনি কার কাছে ছিল এই প্রশ্ন? নিজের কাছে? কাঁপাকাপির দিন শেষ। সেটা ক্রসফায়ার ছিলনা। একজন কাপুরুষ একজন বীরকে হত্যা করে। কাপুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীতা সহ্য করতে পারেনা। স্বর্গচ্যুত হবার ভয়। নিজের অযোগ্যতা প্রকাশ পেয়ে যাবার ভয়। মুখোশের অন্তরালে মিরজাফর রুপ প্রকাশ পাবার ভয়। আগের সেই দৈন্যদশাতে ফিরে যাবার ভয়। জেলের ভয়। বিচারের ভয়। ফাঁসীর ভয়। সব ভয় থেকে একদিন তাকেও মুক্ত করে দেওয়া হলো। তখন বাংলাদেশের আকাশ, বাতাস, মাটি, রোদ, বৃষ্টি, সূর্য, তারা, চাঁদ, সবাই প্রশ্ন করেছিল — কোথায় এখন শেখ মুজিব?
বেগম খালেদা জিয়া ফিরিয়ে আনে ক্রসফায়ার। বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড। কেনো? বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ ছিলনা? একজন দোষী ব্যক্তি দোষী কি নির্দোষ তা প্রমান করার জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করার অধিকার ছিলনা? কিসের গনতন্ত্রের কথা বলে বেগম খালেদা জিয়া ? কিসের গনতন্ত্রের জন্য অবরোধ ডেকে দলের নেতাকর্মীদের জীবন নস্ট করে বিএনপি ? বিনা বিচারে একজন মানুষ হত্যা করার অধিকার কারু নেই। দোষি ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়ার সুযোগ হলো মানবাধিকার। এখন দেখা যাক — কেনো খালেদা জিয়া বাংলাদেশে ক্রসফায়ার ফিরিয়ে আনে। আপনারা সবাই জানেন আওয়ামীলীগ থেকেই জাসদের জন্ম। আওয়ামীলীগ ভেঙ্গে যখন জাসদ জন্মায় তখন বিএনপীর জন্ম হয়নি। যখন বিএনপীর জন্ম হয় তখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সবাই চুপচাপ ঘাপটি মেরে বসেছিল দেশের আনাচেকানাচে। বিএনপীর জন্মের সাথে সাথে এদের অনেকেই মুজিব কোট জ্বালিয়ে দিয়ে দ্রুত কোট টাই পড়ে নেয়। মুজিব ছিল আইয়ুবের এজেন্ট আর জিয়া ছিল আইয়ূবের সৈন্য। তাই আইয়ুবের বুনিয়াদী গনতন্ত্রের ছকে মুজিব বানিয়েছিল ছয়দফা আর জিয়া বসাইছিল ইউনিয়ন কাউন্সিল আর এলিটের বেশে বাংলাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল সর্বকালের চোর, ডাকাত, ধর্ষকেরা। এরাই ছিল খালেদা জিয়ার পেছনে।
একবার এক ব্যংক ডাকাতিতে কিছু ডাকাত ধরা পড়ে। তাদের ক্রসফায়ারে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের একজনের ক্রসফায়ার হয়না। এর কারণ ছিল একটাই তাহলো — এই ডাকাতির পেছনে যারা জড়িত ছিল তারা খালেদা জিয়ার কাছে লোক। খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে তারা কোটি কোটী টাকা বানিয়েছে। লুট করেছে বাংলাদেশ। তাদের নাম যদি এসে যায় তাহলে মহা মুসিবত হবে তাই এই ক্রশফায়ার রোধ করে এই ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই কারনেই খালেদা জিয়ার আমলে ক্রসফায়ারের আমদানী হয় । যারা অপরাধী তাদের যারা ব্যবহার করছে তাদের নাম যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য আসল অপরাধীরা বিপাকে পড়া অপরাধীদের ক্রসফায়ারে হত্যা করতো।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীরা হলেন কমিশন এজেন্ট। এদের পেছনে যারা আছে তারাই আসল চান্দা ব্যাটারী সেল। ক্রসফায়ার তাদেরই খেলা। জনপ্রিয় খেলা। ক্রসফায়ার শব্দের ভুল ব্যবহার করে ড্রয়িংরুমে বসা কোট, টাই পড়া ভদ্রলোকের মুখোশ পড়া কুৎসিত খুনীরা আজো হাসে। বর্তমানে তাদের সামনে বসে আছেন অন্য একজন নেত্রী। একই নাটকের একই চরিত্রের ভিন্ন অভিনেত্রি।
https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
Mohammad Joy liked this on Facebook.