ত্রিশালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার সময় গুরুতর আহত হয় আরো দুজন। তারা ভর্তি রয়েছেন ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তবে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত নেতার নাম এনামুল হক চান মিয়া। তিনি ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মধ্যভাটিপাড়ার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ত্রিশাল থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মধ্যভাটিপাড়া ডামের মোড় এলাকায় পল্লী বিদুতের লাইনের সংযোগ দিতে বিএনপি নেতার ভতিজা লাইনম্যান মতিউর রহমান পারভেজ খুঁটিতে ওঠেন। এসময় একটি চারা গাছের মাথা ভেঙে গেলে স্থানীয় আত্তস আলীর ছেলে ফজল মিয়া লাইনম্যান পারভেজকে মারধর করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়া হয়।
এরপর বিকেল ৪টার দিকে আত্তস আলীর ছেলে ফজল মিয়া তাদের পক্ষের ২০/২৫ জন লোকসহ অস্ত্র, রড ও লাঠি নিয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক চান মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরার এনামুল হককে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে এনামুলকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। হামলাকালে ধানীখোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ ও নিহতের ভাতিজা মতিউর রহমান পারভেজও গুরুতর আহত হন। তাদেরও ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাফিজ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজল মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
Anowar Dhali liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.