১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা পাকিস্তান অস্বীকার করেছে

Pakistan denies committing war crimes in 1971pakistan

১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলাতে কোন রকমের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিলনা বলে পাকিস্তান জানিয়েছে। ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলাতে তাহলে কে বা কাহারা গনহত্যা চালিয়েছে? উত্তর খুব সহজ – জামাতে ইসলামী এবং বিএনপীর স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী। জামাতের তিনজন নেতা ও বিএনপীর একজন নেতার যখন ফাঁসি হয়েই গেছে তখন পাকিস্তান এটা বলতেই পারে যে ১৯৭১ সালে কোন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে তারা জড়িত ছিলনা। যদি জড়িত থাকতো তাহলে কি হানাদার বাহিনীরা ভারতের আর্মীর পাহাড়াতে নিরাপদে পাকিস্তান পৌছাতে পারতো? এই ভিডিওটি দেখুন।

পাকিস্তান আর্মীর কোন বিচার হয়নি। পাকিস্তান আর্মীকে সম্পুর্ন নিরাপত্তার সাথে পাকিস্তানে পৌছে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান আর্মী যত দিন পর্যন্ত ভারতের সম্পুর্ন নিরাপত্তা পায়নি ততদিন পর্যন্ত নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তাদের আর্মস রাখার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান আর্মী যদি গনহত্যা চালাতো তাহলে তো তাদের বিচার হবার কথা ছিল। বিচার হয়নি সেজন্যই পাকিস্তান এখন ১৯৭১ সালে সংঘটিত গনহত্যার কথা সম্পুর্ন অস্বীকার করতে পারে।

সেদিন কোন যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল বসেনি। হানাদার বাহিনীকে নিরাপত্তা দেবার পেছনে ভারতের কি স্বার্থ ছিল? পাক-ভারত যুদ্ধের কথা কে জানেনা? ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছে ভারত। এইসব যুদ্ধে ভারতের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারপরেও ভারতের এত কেন দরদ ছিল পাকিস্তান আর্মীর জন্য? সব দরদ ১৯৭১ সালেই দেখিয়ে দিলো ভারত? কেনো? এই প্রশ্ন বাংলাদেশের কোন মানুষ কি করেনি কখনো? করেছিলেন। একজন মানুষ এই প্রশ্ন করেছিলেন আর এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছিলেন। কমরেড সিরাজ সিকদার। মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সিরাজ সিকদার বলেছিলেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ, তরিঘড়ি সারেন্ডার সব কিছুই এমন একটা সময়ে এসে ভারত করে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান আর্মীকে সম্পুর্নভাবে পরাস্ত করে ফেলেছিল। কমরেড সিরাজ সিকদারসহ আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভারতের না যেয়েই হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিল। একারনেই এইসব মুক্তিযোদ্ধাদের বেছে বেছে হত্যাও করা হয়েছিল ১৯৭২-৭৫ সালে। কমরেড সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হয় ২রা জানুয়ারী ১৯৭৫ সালে। জাতীয় সংসদে এসে শেখ মুজিব গর্বের সাথে এই হত্যার দায় স্বিকার করে। শেখ মুজিবের মৌখিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় বাংলাদেশে। এই হত্যাকান্ড কারা ঘটিয়েছিল? জামাতের নেতারা আর বিএনপীর স্থায়ী কমিটির সদস্য, এত কম মানুষজন মিলে ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করে ফেললো? শেখ মুজিবের পরিবার ঢাকাতেই ছিল তাদেরকেও কেউ হত্যা করেনি। তাহলে তো পাকিস্তান আর্মি নির্দোষ – কোন সন্দেহ নাই। পাকিস্তান আর্মী নির্দোষ ছিল বলেই বিনা বিচারে তারা ভারতের পাহাড়াতে পাকিস্তানে পৌছুতে পেরেছিল।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান গনহত্যা চালায়নি বলেই পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে শেখ মুজিব পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে “সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করে ১৯৭৪ সালে লাহোরে ইসলামিক সন্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলার কসাই টিক্কা খানের সাথে হাত মেলায়।

তাহলে শেখ মুজিবের মৌখিক পরিসংখ্যান অনুযায়ি ত্রিশ লাখ মানুষকে কে বা কাহারা হত্যা করেছিল?? উত্তর খুব সহজ – জামাতে ইসলামীর নেতারা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। পাকিস্তান আর্মী বাংলাদেশে যদি গনহত্যা না করে থাকে তাহলে জহির রায়হানের “স্টপ জেনোসাইড” ডকুমেন্টারীতে আমরা কি দেখলাম?





Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *