আমিরাতে প্রবাসীদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কার্গো ব্যবসায় দু’শতাধিক লাইসেন্সধারী কোম্পানির প্রায় ৫ হাজারের অধিক পরিবার দেশ-বিদেশে জড়িত রয়েছে। তবে দেশে প্রেরিত মাল খালাস না হওয়ায় এ ব্যবসা বন্ধ হবার উপক্রম উল্লেখ করে কার্গো ব্যবসাকে বাঁচাতে প্রবাস বান্ধব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে আরব আমিরাত বাংলাদেশ কার্গো মালিক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আমিরাতের প্রদেশিক কার্গো ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরব আমিরাত বাংলাদেশ কার্গো মালিক সমিতির আহ্বায়ক ও আবুধাবী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম তৌহিদ। লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আলম তৌহিদ বলেন, ‘আরব আমিরাতে অভিবাসীদের শতকরা ৬০ ভাগ চট্টগ্রাম প্রবাসী। চট্টগ্রাম বিমান বন্দর ও নৌ বন্দরকেই ঘিরে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী তাদের পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতকরা ৯৫ ভাগ কার্গোর মাধ্যমে পাঠিয়ে আসছেন। হঠাৎ করে সরকারি কোন ঘোষণা ছাড়া প্রবাসীদের প্রেরিত মালামাল খালাস করতে গড়িমসি করছেন কাস্টম অফিস। ফলে বিমান বন্দরে প্রবাসীদের পাঠানো শতকোটি টাকার পণ্যের ৫০০ টন ও ২০০ কন্টেইনার অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। মাঝে মধ্যে কিছু খালাস হলেও তা ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ে।’
বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রেরিত মালামাল ঠিক মতো না পেয়ে আমিরাতের স্থানীয় আদালতে কার্গো মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে প্রবাসীরা। এতে করে বাংলাদেশের ইমেজ সংকটেরও আশংকা করছেন তারা।’
এর আগে দুপুরে কার্গো মালিকরা তাদের প্রেরিত মালামাল যথাসময়ে খালাস করার স্থায়ী সামাধান, দ্রুত মালামাল খালাসে সিএনএফ না করে কোম্পানি টু কোম্পানি করাসহ নীতিমালা সংশোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়ে আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত স্বারকলিপি গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌছে দেয়ার আশ্বাস দেন। কার্গো ব্যবসাবান্ধব নতুন নীতিমালার খসড়া প্রস্তাবনা সরকারের কাছে জমা দেয়ার জন্যেও আহ্বান করেন রাষ্ট্রদূত। এসময় বাংলাদেশ কার্গো মালিক সমিতি আবুধাবীর আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলম তৌহিদের নেতৃত্বে আমিরাতের প্রদেশিক কার্গোর মালিক ও কমিনিউটি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।