ইউএই’র জাতীয় দিবস প্যারেডে উড়লো লাল সবুজের পতাকা

বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন ‘বুর্জ খালিফা’কে ঘিরে গড়ে ওঠা ডাউনটাউন দুবাইয়ে সাড়ম্বরে হয়ে গেলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৪ তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন প্যারেড ডাউনটাউন দুবাই। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ইতালী চীন সেন্ট্রাল আফ্রিকান স্টেটস, ফিলিপাইন, রোমানিয়া, ভারত, শ্রীলংকা, মরোক্কোসহ ২০টি দেশের সাথে বাংলাদেশ উড়িয়েছে লাল সবুজের পতাকা। সমুজ্জ্বল করেছে ১২ লক্ষ অনাবাসী বাংলাদেশির ভাবমূর্তি। আমিরাতি পুলিশের একটি চৌকষ দল, অশ্বারোহী বাহিনী, পুলিশ বাদক দলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানও এতে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব দুবাই’র ব্যবস্থাপনায় এবং এনআরবি কেয়ার ফর গালফ, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইসহ সর্বস্তরের বাংলাদেশি কম্যুনিটির ঐকান্তিক সহযগিতায় এটি একটি সফল ইভেন্টে পরিণত হয়। এতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাই’র কাউন্সিলর কন্সাল ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর, ফার্স্ট সেক্রেটারি লেবার এ কে এম মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব দুবাই’র সভাপতি নওশের আলী, ক্যাপ্টেন সৈয়দ আবু আহাদ, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল-এর সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, রাজা মলিক, এনআরবি কেয়ার ফর গালফ-এর প্রধান নির্বাহী রফিকুলাহ গাজ্জালী প্যারেডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল করতে নিরংকুশ অবদান রেখেছেন। সম্মুখ সারিতে পতাকাবাহী দলের দায়িত্বে ছিলেন স্বদেশী পোশাকে সুসজ্জিত দেশি বয়েজ মিডিয়ার সদস্যরা।
এই প্যারেডে একটি বহুজাতিক পরিম-লে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ। টিম বাংলাদেশের সাফল্যের স্মারক বিশালাকার ক্রিকেট ব্যাট ও বল, গেরুয়া বরণের পোশাকে একতারা হাতে বাউল আর বৈষ্ণবীর নাচ-গান, বাসন্তী সাজে বাঙালি মেয়েদের উৎসবমুখর উপস্থিতি, বর্ণিল ঘুড়ি, বৈশাখীর সাজে বাঙালি কিংবা বাঙালির শৌর্য বীর্যের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্যারেড দেখতে আসা হাজারো ভিনদেশির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে নিমিষে।
প্যারেডে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ তাদের নিজ নিজ দেশের ল্যান্ডমার্ক ভবনের রেপিকা বয়ে আনে, দর্শকদের করতালির মধ্য দিয়ে নৃত্যগীত কিংবা ড্রাম বাদনের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। এ সময় ক্লাউন, জাগলার, এক্রোবেটিক নৈপুণ্যে সাইক্লিস্ট নানা কসরতের কিংবা অঙ্গভঙ্গির মধ্য দিয়ে দর্শকদের বিনোদন দেন।
ঝকঝকে রৌদ্রকর দিনে মৃদু হিমেল হাওয়ায় উৎসবমুখর এই দিনটিতে একটি বৈশ্বিক পরিম-লে নিজ দেশকে উপস্থাপন করতে পেরে উপস্থিত প্রতিটি বাঙালি পরিতৃপ্ত হন।