ক্যানসার প্রতিরোধ-নিরাময়ে ৮ খাবার

ঢাকা: ক্যানসার নিরাময়ের প্রথম ধাপ হলো, গো‍ড়াতেই নির্ণয় ও বিনাশ। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধতে দেওয়া না যায়। ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে কার্যকর- এমন আট খাবার নিয়ে এবারের আয়োজন।

ফুলকপি
ফুলকপিতে রয়েছে সালফোরাফেন। এই উপাদানে রয়েছে এন্টি-ক্যানসার গুণাগুণ। ফুলকপি খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সালফোরাফেন বের হয়। তাই ফুলকপি ভালোভাবে চিবিয়ে খান। শরীরের সুস্থ কোষগুলোর কোনোরূপ ক্ষতি ছাড়াই সালফোরাফেন ক্যানসার সেল নির্মূল করে।

গাজর
গাজরকে বিশেষভাবে উন্নত দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী মনে করা হয়। গত দশ বছরের গবেষণা প্রমাণ করেছে, প্রোস্টেট ক্যানসারসহ কিছু সংখ্যক ক্যানসার প্রতিরোধে গাজর বিশেষভাবে কাজ করে। গবেষণায় ইঁদুরকে বেশি পরিম‍াণে গাজর খাওয়ানো হয়। তাতে দেখা যায়, গাজর প্রোস্টেট ক্যানসার বাড়তে দেয় না।

অ্যাভোকাডো
ফল হিসেবে অ্যাভোকাডোর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এতে অন্য পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট। এন্টি-অক্সিডেন্ট নিশ্চিতভাবে বাড়তে থাকা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। মজার বিষয় হলো বেশিরভাগ ফলে ফ্যাটের মাত্রা খুব কম থাকে। কিন্তু অ্যাভোকাডো হাই-ফ্যাট-ফ্রুট হিসেবে চিহ্নিত। আর ফ্যাট সমৃদ্ধ এ ফলটি আশ্চর্যজনকভাবে ওজন হ্রাস করে।

ব্রোকোলি
ব্রোকোলি প্রাকৃতিক ক্যানসার প্রতিরোধক। বিশেষভাবে বলতে গেলে ব্রোকোলি খেয়ে কোলন ও ব্লাডার ক্যানসার নিরাময়, এমনকি সারিয়ে তোলা সম্ভব। হাই ফাইবার থাকায় এটি হজমেও সহায়ক।

টমেটো
টমেটো যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মজাদার খাবার। রান্না করা টমেটো বেশি পরিমাণ লাইকোপেন নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। এর মধ্যকার ফাইটোকেমিকেল ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে। টমেটো শরীরে বেশি পরিমাণ এন্টি-অক্সিডেন্টের যোগান দেয়। প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধকারী হিসেবে টমেটো বিশ্বস্ত একটি খাবার।

আখরোট
ব্রেস্ট ক্যানসার বা প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে চান? এর সহজ সমাধান হলো আখরোট। এতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি এমন এক প্রকার ফ্যাটি অ্যাসিড যা করোনারি হার্ট ডিজিজেস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

রসুন
রসুন খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি ক্যানসার প্রতিরোধক। রসুন ক্যানসার সেল তৈরি হতে ও ছড়াতে দেয় না। রসুনের এন্টি-ভাইরাল ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে। এন্টিবায়োটিক হিসেবে কার্যকরী এ উপকরণটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধ করে বলেও প্রমাণিত।

আদা
গবেষণায় দেখা গেছে, আদা ক্যানসার নিরাময়ক মেডিসিনের চেয়ে ভালো কাজ করে। প্রোস্টেট ক্যানসারের ওপর আদার ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে  গবেষণায় বলা হয়েছে এটি ক্যানসার নিরাময়ে সফল একটি উপাদান।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.