সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদীর বালুমহল নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সোনারগাঁয়ের চরকিশোরগঞ্জ চরহোগলা গ্রাম। এসময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।
বুধবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জ চরহোগলা গ্রামে ওই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আলম, ফারুক মেহেদী, ইয়াসিনসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ বালু মহলের ইজারা নিয়ে মেঘনা নদী এলাকার চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় শম্ভূপুরা ইউপির সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনের মেম্বারের সঙ্গে একই এলাকার আরেক আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এর জের ধরেই নাছির মেম্বার তার দুইভাই জানে আলম ও টুকুর নেতৃত্ব অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী হারুন মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। তারা অন্তত ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হারুন মিয়ার সমর্থকদের ৩টি মোটরসাইকেল ও মেঘনা নদী থেকে একটি স্পিডবোডসহ ৬টি ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়।
সময় হামলাকারীদের ছোড়া শটগানের গুলিতে আলম, ফারুক, জয়নাল, দেলোয়ার, সাইফুল, মঞ্জুর হক, গাফ্ফার, আরিফ, আল-আমিন ও ইয়াসিনসহ ২০জন আহত হয়।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে আসার পরে হারুণ মিয়ার লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় নাছির মেম্বারের পক্ষের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এব্যাপারে নাছির উদ্দিন জানান, চরহোগলা গ্রামবাসী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় একত্রিত হয়ে বালু উত্তোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
হারুন শেখ জানান, আমরা বৈধভাবে চরকিশোরগঞ্জ বালু মহাল ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকি। নাছির মেম্বার বালু মহালের ইজারা না পেয়ে তার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধসহ আমাদের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের জানান, নাছির মেম্বারের লোকজনের শটগানের গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা ৩টি মোটরসাইকেল, একটি স্পিডবোড ও ৬টি ট্টলার নিয়ে যায় ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের পিপিএম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Md Ariful Islam liked this on Facebook.
Liton Ahmed liked this on Facebook.