মাশরাফি যখন টি২০ ব্যাটসম্যান

ঢাকা : টি২০ ব্যাটসম্যান হতে কি যোগ্যতা লাগে! খুব বেশি কিছু নয়। স্রেফ ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাট করতে পারা। বলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রান করতে পারা। একের পর এক চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেয়া। টেস্টে জেনুইন ব্যাটসম্যান হতে হলে যেমন টেকনিক প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ধৈর্য। তবে টি২০তে শুধু প্রয়োজন টেকনিক।

মাশরাফি বিন মর্তুজার টেকনিক নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এমন অনেক ম্যাচ আছে, যেটাতে শেষ দিকে মাশরাফির ১৫-২০ রানের কারণে বাংলাদেশ দল জয় পেয়েছিল। তবে টি২০’র ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিংটাই কি না মাশরাফি এতদিন দেখাতে পারেননি।

সে সামর্থ্য তার আছে কি না সেটাও কিন্তু এতদিন বোঝা যায়নি। এবার বোঝা গেলো। বুঝিয়ে দিল বিপিএল। প্রথম ম্যাচে বাজে ব্যাটিং করে হারার কারণেই কি না নিজে নিজেই তেতে ছিলেন মাশরাফি এবং পরের ম্যাচেও যখন চিটাগাং ভাইকিংসের সামনে নিজ দলের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক অসহায় আত্মসমর্পণ করছিল, তখন মাশরাফি নিজেই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন।

ভাগ্যের সহায়তা যেমন পেয়েছেন তেমনি, নিজেও ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন দারুন স্কিল। একের পর এক বোলারকে মাঠছাড়া করেছেন মাশরাফি। টি২০ ক্যারিয়রে তুলে নিলেন প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। তার এই ঝড়ো ব্যাটিংয়েই চিটাগাংয়ের ১৭৬ রানের বিশাল স্কোর টপকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জয় পেয়ে গেলো ৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই।

উইনিং শটটাও আসলো মাশরাফির ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বিধ্বংসী বোলার মোহাম্মদ আমিরকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লাকে সুপার জয় এনে দিলেন ম্যাশ। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৩২ বলে ৫৬ রান করে। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারলেন ৩টি।

৪ thoughts on “মাশরাফি যখন টি২০ ব্যাটসম্যান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *