যুদ্ধাপরাধী মিশে আছে আ.লীগেও !

চট্টগ্রাম : আওয়ামী লীগেও যুদ্ধাপরাধী মিশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

মহিউদ্দিনের এই মন্তব্য আসার আগের দিন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছেন একই বাড়ির বাসিন্দা ও নিকটাত্মীয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। যদিও গতকাল এক সভায় সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সোমবার যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ডাকা হরতালের প্রতিবাদে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা লুকিয়ে আছে সমাজে, এমনকি আমাদের দলের মধ্যেও মিশে আছে। তাদের চিহ্নিত করতে সামাজিক উদ্যোগ চাই। যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আমাদের সামাজিক সর্ম্পক ত্যাগ করতে হবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নমুখী অগ্রযাত্রায় কাঁটা সৃষ্টি হবে। এই কাঁটা অপসারণ করতে হবে।’

যদিও বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অনেকবার করা হলেও এই প্রথম আওয়ামী লীগের কোনো নেতার কাছ থেকে এমন মন্তব্য এসেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, সাম্যবাদী দলের অমুল্য বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, মহানগর আওয়ামী লীগের শেখ শহিদুল আনোয়ার, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব সাহাব উদ্দিন আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সলিম উল্লাহ বাচ্চু, আবদুর রহমান, মহানগর যুবলীগের ফরিদ মাহমুদ, মো. হেলাল উদ্দিন।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, গণতান্ত্রিক পার্টির স্বপন সেন, ১৪ দলের নিপতি বড়ুয়া, হাসান শহীদ রানা, মিটুল দাশ গুপ্ত, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, অমল মিত্র, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষান চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী সি ইন সি স্পেশাল, আনসারুল হক, টিংকু বড়–য়া, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব শের মোহাম্মদ, যুবলীগের আবু সাঈদ জন, ওলামা লীগের মাওলানা আলতাব হোসেন, ছাত্রলীগের মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ।

১৮ thoughts on “যুদ্ধাপরাধী মিশে আছে আ.লীগেও !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *