একইসঙ্গে ফাঁসিতে ঝুললো দুই যুদ্ধাপরাধী

ঢাকা : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

এরা দু’জনেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এবং সে আবেদন নাকচও করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রাণভিক্ষা চাননি- সর্বশেষ সাক্ষাতে পরিবারের কাছে এটাই বলেছেন তারা।

ফাঁসি কার্যকরের পর নিয়মিত আনুষ্ঠানিকতা সেরে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। পুলিশ ও র‍্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়ি নিরাপত্তার জন্য মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুটির সঙ্গে পাঠানো হবে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে যথাক্রমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের রায় কার্যকর করা হলো।

এর আগে রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তার আগে কারাগারে যান আইজি (প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কবির হোসেন ও ডিআইজি (প্রিজন) গোলাম হায়দার। জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী আগে থেকেই কারাগারের ভেতরে ছিলেন বলে জানা যায়।

জল্লাদ
সাত জন জল্লাদ তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছেন। এরা হলেন- ইকবাল, মাসুদ, আবুল, মোক্তার, রাজু, শাহজাহান ও হযরত। এসব জল্লাদ বিভিন্ন সময় ফাঁসি আসামিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করেন। এদের মধ্যে শাহজাহান ও রাজু যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে অংশ নিয়েছিলেন।

অ্যাম্বুলেন্স
রাত ১২টা ৩১ মিনিটে লাশ বহন করে এমন চারটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স কারাগারের সামনে এনে রাখা হয়। ১২টা ৩৮ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সগুলো কারাগারে প্রবেশ করে।

স্বজনদের সাক্ষাৎ
সর্বশেষ শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে শেষ দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন তার স্বজনেরা। সোয়া এক ঘণ্টা পর তারা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। স্ত্রী-পুত্র-কন্যাসহ ১৮ জন স্বজন তার সঙ্গে দেখা করেন।

রাত ১০টা ২৫ মিনিটে আলী আহসান মুজাহিদের সঙ্গে শেষ দেখা করতে কারাগারে প্রবেশ করেন স্বজনরা। তারা ঘণ্টা পর বের হন। স্ত্রী ও ছেলেসহ ৮ জন স্বজন তার সঙ্গে দেখা করেন।

৪ thoughts on “একইসঙ্গে ফাঁসিতে ঝুললো দুই যুদ্ধাপরাধী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *