ঢাকা : মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আবেদনের রায় খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এতে এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রইলো। এখন রাষ্ট্রপতির ক্ষমাই তাদের একমাত্র পথ।
সংবিধানের ৪৯ পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে-কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে-কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বেশ কয়েকটি রায় হওয়ার পর সংবিধানের এ পরিচ্ছেদ সংশোধনের দাবিও ওঠে। অনেকেই দাবি করেছিলেন, সংবিধানের এই পরিচ্ছেদের কারণে কোনো যুদ্ধাপরাধী ক্ষমা না পান সেজন্য এ আইন সংশোধন করতে হবে। অবশ্য পরে তা করা হয়নি। তবে দণ্ডপ্রাপ্তরা ক্ষমা প্রার্থনা করবেন কি না তা তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের রায় দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিলেন। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে মুজাহিদের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে গেলে সর্বোচ্চ আদালতও ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ২৩টি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। বাকি পাঁচটি অভিযোগের ২, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং দুটি অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছরসহ সর্বমোট ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাকার বিরুদ্ধে অন্য ১৪টি অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়টি অভিযোগের বিষয়ে প্রসিকিউশন কোনো সাক্ষ্য হাজির করতে পারেনি।
৩০ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর দণ্ড থেকে বাঁচতে সাকা-মুজাহিদের সামনে খোলা ছিল রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পথ। ওইদিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে মুজাহিদের মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই একসঙ্গে যায় ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।
নিয়ম অনুসারে সে থেকে নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী। এ রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দিলেন আপিল বিভাগ। এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে দু’জনেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
bastard why make this style photo
Md Azizul liked this on Facebook.
Laltu Hossain liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.