দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসনে সবার আলোচনার মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত– রুহুল আলম চৌধুরী বীরবিক্রম

রুহুল আলম চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসনে সবার একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত।

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে খালি মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা মেনে নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান এই নেতা।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘জেড ফোর্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা’ এর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান ।

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে একেক সময়ে একেক ধরনের কথা বলে সরকার অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান।

‘ক্ষমতা ছাড়ার আতঙ্কে’ সরকারের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা না করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর (সরকার) এখন বলছে, শুধু মেয়র আর চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। আসলে সরকার কী করবে, কী না করবে; তা বুঝতে পারছে না। তারা স্বাভাবিক নয়।

দেশে মহাসংকট চলছে দাবি করে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় সংলাপের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আহমদ আজম খান।

তিনি বলেন, এই মুুহূর্তে যে মহাসংকট চলছে তা থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন। এ ছাড়া এই পরিস্থিতি উত্তরণ কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

এক্ষেত্রে বিএনপি সসরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের এতো ভয় কেন? এতো আতঙ্কে রয়েছে কেন? আমরা তো বলেছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। একসঙ্গে কাজ করতে চাই। বিএনপি বাঁকা পথে ক্ষমতায় যেতে চায় না, তা বিশ্বাসও করে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ক্রান্তিকাল চলছে, কিন্তু সরকার সেটি স্বীকার করতে চায় না। কখনো বলছে দেশে জঙ্গি আছে, কখনো বলছে নেই। আবার বলছে, ফ্রান্সের ঘটনা এবং বাংলাদেশের সৃষ্ট ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা। আসলে সরকার বেসামাল হয়ে গেছে। সেজন্য এই ধরনের মন্তব্য করছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।’

সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্র ফিরে আসার উদাহরণ দিয়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে দেখুন সেখানে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। ক’দিন আগে ভারতের বিহারে নির্বাচন হয়েছে। তাতে বিরোধী পার্টি জয়লাভ করেছে। কিন্তু সেখানকার নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের জয়ী করতে ভূমিকা রাখেনি। কিন্তু আমাদের দেশের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রার্থীদের জেতাতে যা করার সবই করে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি স্থানান্তরের খবরের প্রসঙ্গ টেনে আহমদ আজম খান বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্রকে যেভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তেমনি গণতন্ত্রের নায়কের কবরও নির্বাসনে পাঠাতে চায়। তার কবর সরিয়ে কোথায় নিয়ে যেতে চান? জনগণ এটি মেনে নেবে না, অবশ্যই এর প্রক্রিয়া প্রতিহত করবে।’

৭ নভেম্বরের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার ৭ নভেম্বর সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জিয়াকে খলনায়ক হিসেবে প্রমাণের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ইতিহাস তার আপন গতিতে চলে। ঠিকই একসময় প্রকৃত ইতিহাস বেরিয়ে আসবে।’

আয়োজন সংগঠনের সভাপতি কে এম হোসেন টমাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুবদল সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জেড ফোর্সের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার, সাধারন সম্পাদক খালেদ এনাম মুন্না, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ,জাসাস উত্তরের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা। ।

One thought on “দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসনে সবার আলোচনার মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত– রুহুল আলম চৌধুরী বীরবিক্রম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *