খালেদা জিয়া ফিরতে চাইলে স্বাগত জানাব : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে তাঁদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, দেশে ফিরতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে।

আজ সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক যারা, দেশে থাকুক আর বিদেশে থাকুক, তাঁকে দেশে আনাই বাঞ্ছনীয়। সুতরাং দেশে আসার ক্ষেত্রে সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। আমরা স্বাগত জানাব।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘তবে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোনো আগুন সন্ত্রাসী থাকবে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী, হত্যা-খুন এবং ৬৮ জন মানুষ পোড়ানোর যে দুষ্কর্ম তার থেকে রেহাই পাবেন না।’

গত ৭ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের উত্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য সরকারই দায়ী—মওদুদ আহমদের এ বক্তব্য দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান এবং বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিবাদীদের সম্মিলিত আগুন সন্ত্রাস-নাশকতা-অন্তর্ঘাত-সহিংসতার রাজনীতিকে আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র।’

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সংবিধান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও গণতন্ত্রকে তুলে ধরেই দেশ শাসন করছে। দেশে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত আছে বলেই জনাব মওদুদ আহমদ স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারছেন এবং তা প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে।’

নির্বাচন বিএনপির আসল লক্ষ্য না মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তারা নির্বাচনের দাবির আড়ালে জল ঘোলা করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে দেশকে সংবিধানের বাইরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চায়।’

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের নেত্রী। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি চিন্তিত। তাঁর নির্বাচন ও ঐক্যের ফর্মুলা মানে খুনিদের হালাল করার ফর্মুলা।’

৬ thoughts on “খালেদা জিয়া ফিরতে চাইলে স্বাগত জানাব : তথ্যমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *