প্রথমে আওয়ামীলীগ পরে বিএনপি এখন আওয়ামীলীগে যোগদান রুমীর

ঢাকা: বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর জেলা কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি এম এম শাহরিয়ার রুমী।

রোববার (১৫ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

ইতোমধ্যে ওই পদত্যাগপত্র বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি পদসহ বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রুমী বলেন, আমার বাবা প্রয়াত আইনজীবী শামসুদ্দীন মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচয়িতাদেরও অন্যতম ছিলেন তিনি। আমি নিজেও ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কর্মী ও নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হই। দায়িত্ব পাই প্রচার ও অর্থ সম্পাদকের। এরপর যোগ দেই আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য হই। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৫ (ভাঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হই।

তিনি বলেন, নির্যাতনের মুখে এবং জনগণের স্বার্থে ওই নির্বাচনের পর বিএনপিতে যোগ দিতে বাধ্য হই। কিন্তু আমার ওই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রুমী আরো বলেন, বিপরীতমুখী রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা ঠিক হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাকি জীবন দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হই। কিন্তু দেশ-জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতার দিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ বিএনপি ত্যাগ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তাকে জোর করে বিএনপিতে যোগদান করানো হয়নি। তিনি জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের প্রয়াত নেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে আসেন। আজ তিনি চলে যাচ্ছেন, এটা তার ব্যাপার। কিন্তু যাওয়ার সময় এমন মন্তব্য কেন করছেন, সেটি আমার বোধগম্য নয়।

শাহজাদা মিয়া আরো বলেন, অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ছিলেন রুমী। তার কাছ থেকে আমরা তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। সুতরাং তিনি চলে গেলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

৮ thoughts on “প্রথমে আওয়ামীলীগ পরে বিএনপি এখন আওয়ামীলীগে যোগদান রুমীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *