শিশু রাকিব হত্যা মামলায় আসামি বিউটি বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়ায় আদালত প্রাঙ্গণেই বিক্ষোভ করেছে সধারণ জনতা। এ সময় তারা পুনরায় বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
রোববার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলাতানা রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে গ্যারেজ মালিক শরীফ (৩৫), সহযোগী মিন্টু মিয়াকে (৪০) ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া মামলার অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে (৫৫) খালাস দেয়া হয়।
এ রায়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত জনতা কিছুটা খুশি হলেও ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিহত রাকিবের খালা। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘যে মহিলার কারণে আমার বোনের কোল খালি হয়েছে তাকে কীভাবে আদালত খালাস দেয়, আমরা এ রায় মানি না।’ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত গ্যারেজ মালিক শরিফের মা বিউটি বেগমকে সর্বোচ্চ না হোক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন তিনি। এমন দাবি অন্যদেরও।
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু বিউটি বেগম নির্যাতিত অবস্থায় রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন তাই তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। আসামিদের খুলনা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশের প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৩ মাস ৫ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় ঘোষণা বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে অপরাধীদের অপরাধের প্রবণতা হ্রাস পাবে। তবে, বিউটি বেগমের খালাসের বিষয়ে বাদী পক্ষ যদি আপিল করতে চায় তাহলে আদালতে আপিল করা হবে।’
রায়ের ব্যাপারে রাকিবের পিতা মো. নূর আলম বলেন, ‘দুই জনের ফাঁসি দিয়েছে এতে আমরা খুশি। তবে, এ ঘটনায় বিউটি বেগমের খালাসে আমরা সন্তুষ্ট নই। তিনি বিউটি বেগমের বিচারের বিষয়ে আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকায় শরীফ মটরসে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে শিশু রাকিবের পায়ূপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন ৪ আগস্ট নিহত শিশুর বাবা মো. নূর আলম বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোস্তাক আহমেদ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
Sazzad Reza liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
MG Azam liked this on Facebook.
Md Masod liked this on Facebook.
Mohammed Rakib liked this on Facebook.
Rajukul Islam Raju liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.
Jafar Khan liked this on Facebook.