খালেদার অনুপস্থিতে অবহেলায় ‘ফিরোজা’

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেড় মাস শারীরিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার গুলশান বাসভবন ‘ফিরোজা’ অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে। ধীরে ধীরে জৌলুস হারাচ্ছে বাড়িটি। দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাড়ির এই হাল দেখে অনেকেই হতভম্ব হয়েছেন। তাদের মনে প্রশ্ন- বিএনপির নেতারা মাঠের আন্দোলনের মত চেয়ারপারসনের মান-সম্মানও রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

সরেজমিনে গেয়ে দেখা যায়, ক্রমেই অযত্ন ও অবহেলার চিহ্ন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে বাড়িটিতে। বাড়ির গেটের সামনে যেতেই দেখা যায়, গেটের সামনে ময়লার স্তুপ জমে আছে। যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ধূলোর আস্তর পড়েছে গেটটিতে। যা সব সময় চকচকে থাকতো।

বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব কেনো জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের ‘সিএসএফ’ বলেন, কাজের মেয়ে ও ছেলে না থাকার কারণে প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় না। তবে দুই থেকে তিন দিন পর পর গেটের সামনে ঝাড়ু দেয়া হয়।

বেগম জিয়া দেশের বাইরে যাওয়ার পর বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতাকর্মী বাসভবনে এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে গুলশান বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসনের ‘সিএসএফ’ আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, ‘না, কোন নেতাকর্মীই আসেননি।’

বকুল জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান বাসভবনের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন ১৭ জন ‘সিএসএফ’। ফলে এই ১৭ জন ছাড়া অন্য কেউ বেগম জিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করেন না। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য কোনো কাজের লোক নেই।

প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়েও। কার্যালয়ে পড়ে থাকা বেগম জিয়ার গাড়ি বহরের গাড়িগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার ফলে জমা হয়েছে ধূলোর আবরণ।

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দুই দিন সংবাদ সম্মেলন করার জন্য কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর আর কাউকে দেখা যায়নি। ফলে জাঁকজমকপূর্ণ কার্যালয়টিতে এখন বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের কর্মচারীরা সবাই প্রতিদিন এলেও তারা সময়মত আসছেন না। ফলে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রুটিং মাফিক কাজ হচ্ছে না।

জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে যারা কাজ করেন, তারা সবাই প্রতিদিন কার্যালয়ে আসেন। তবে সবাই একটু দেরিতে আসেন। কিন্তু সেই দেরিটা না ধরলেও চলে।’

১১ thoughts on “খালেদার অনুপস্থিতে অবহেলায় ‘ফিরোজা’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *