একজন অপরাধী কেন পবিত্র হজ্ব পালন করে? সমাজের চোখে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য। সমাজের চোখে ধুলো দেবার জন্য একজন অপরাধী মক্কা শরীফে যেয়ে হজ্ব পালন করে আসে। সবাই ভাবে আহা এই অপরাধীর সব পাপ বুঝি ধুয়ে গেল জম জমের পানিতে। যারা এই অপরাধীর শিকার তারা পড়ে ফাঁফরে । তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করেনা। বাংলাদেশের মানুষ দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা গনতন্ত্রের দাবী করে। খালেদা জিয়াকে বিএনপীর নেতাকর্মীরা গনতন্ত্রের মা নামে আখ্যায়িত করেছে। গনতন্ত্র আসলে কি? মত প্রকাশের অধিকার। ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিজের প্রতিনিধি করে জাতীয় সংসদে পাঠাবার অধিকার। ধরে নিলাম এই অধিকার দেওয়া হলো । আপনি ভোট কেন্দ্রে গেলেন এবং আপনার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলেন আপনার প্রার্থী এমপি হলো এবং দুর্নীতি করা শুরু করলো। তখন আপনি কি করবেন?
আপনি যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সে অন্য কারুকে দিয়ে আপনাকে হত্যা করতেও পারে। আপনি যার নাটকে অভিনয় করে গলা ফাটিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করেছেন সেই নাটকের রচয়িতাই আপনার স্ত্রী ও সমস্ত জনগনের সামনে অন্য এক লোক পাঠিয়ে আপনাকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। কি করবেন আপনি? আপনি যাকে ঘৃনা করেন, যাকে হত্যা করার জন্য চিৎকার করেন তাদের মতই আপনিও নিরুপায় ও অসহায়।
অপরাধীদের কোন ধর্ম নেই, নীতি নেই, মা নেই, বাবা নেই, সন্তান নেই, অপরাধীদের ধর্ম হলো ক্ষমতা, নাম ও টাকা।
কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন সব পূরণ করার জন্য। গনতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বেগম খালেদা জিয়া “অবরোধ” কর্মসূচীর ডাক দেন এবং এই গনতান্ত্রিক অধিকার কায়েমের জন্য বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়। কেশবপূরে বিএনপীর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাসকে নির্বাচিত করে কি লাভ হয়েছে?
বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবেনা সেটাই আব্দুস সামাদ বিশ্বাস প্রমান করেছেন। কেশবপুরের স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে জানা গেছে কেশবপুরের সকল দুর্নীতি ও অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছেন আল হাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস । ভোটাধিকার ফিরে পেতে জীবন না দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে এসে যার যার জীবন রক্ষা করুন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যেতে চায় ক্ষমতা দখল করে অপরাধ করার জন্য, হালুয়া রুটি খাবার জন্য, জনসেবার জন্য নয়।
কেশবপুরের বিএনপীর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীর নামে কেশবপুরের মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা কিন্তু কোন কাজ করছেনা। শোনা যায় তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার। যারা আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের প্রতারণার শিকার তাদের মামলা পুলিশ নেয়না। আওয়ামীলীগ সরকারকে সন্তুষ্ট করতে যা কিছু দুর্নীতি করা দরকার সব কিছু করেই ক্ষমতায় টিকে আছেন আব্দুস সামাদ বিশ্বাস।
বাংলাদেশের সব জেলগুলোতে এখন বিএনপীর নেতাকর্মীতে ভর্তি। আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বাইরে থাকতে চান। আওয়ামীলীগের প্রশাসনিক আমলে বিরোধীদলের নেতারা যদি জনগনের জন্য কাজ করে তাহলে তারা টিকতে পারেনা। আওয়ামীলীগের সাথে থাকতে হলে আওয়ামীলীগের মত কাজ করতে হবে। কেশবপুরের যুবসমাজকে তাই মাদকাসক্ত করে বিএনপীর কেশবপুরের মেয়র আব্দূস সামাদ বিশ্বাস ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গনতান্তিক অধিকার ফিরে পেলেও ফিরে পাবেনা জানমালের নিরাপত্তা কারণ এরা যাদের নির্বাচিত করবে তারা সবাই চোর। চোরেরা দেশের কর্ণধার, চোর ছাড়া আর কারুকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেবার প্রশ্নই অবান্তর। কেশবপুরের জনগনের কাছে প্রশ্ন করতে হবে – মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কি আসলেই একজন অপরাধী ?
এই অবস্থা থেকে বের হতে হলে কেশবপুরের মানুষকে একতাবদ্ধ হতে হবে। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রথমে অপরাধীদের তালিকা বানাতে হবে তারপর তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। আর আইন যদি এইসব অপরাধীদের আশ্রয় দেয় তাহলে কেশবপুরের জনগনের উচিৎ হবে নিজেদের এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষা করার জন্য এইসব অপরাধীদের নির্মুল করা। একজন মা শ্রেষ্ট মা তখন হন যখন তিনি নিজের অপরাধী সন্তানকে তার অপরাধের শাস্তি নিজ হাতে প্রদান করেন। একটি দেশ তখন অপরাধমুক্ত হয় যখন সমগ্র দেশের মানুষ এক হয়ে এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অপরাধের কোন ধর্ম নেই, নীতি নেই, মাবাবাভাইবোন কিছু নেই। অপরাধীকে শাস্তি দিয়েই অপরাধের হার হ্রাস করা সম্ভব। বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দলের ভেতরে অপরাধীরা রয়েছে।
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Mizanur Rahman liked this on Facebook.
Jahidul Islam liked this on Facebook.
Zahidul Islam Shahin liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
MG Azam liked this on Facebook.