গাবতলীতে এএসআই হত্যা: খুনি শনাক্ত

রাজধানীর গাবতলীতে দারুসসালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা হত্যার ঘটনায় মূল খুনিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি এ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থল থেকে তাড়া করে মাসুদ রানা নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী মূল খুনিকে শনাক্ত করা হয়েছে। খুনি ও তার সহযোগী ঢাকার বাইরে থেকে রাতে গাবতলীতে পৌঁছে।

তিনি বলেন, ”আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাপারটি তদন্ত করছি। মূল খুনিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আটক মাসুদ রানার কাছ থেকে নাম-পরিচয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন আর কিছু বলা যাচ্ছে না।”

মারুফ হাসান জানান, মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় পর্বত সিনেমা হল এলাকায় আসলে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়ে খুনি ও তার সহযোগি। তখনই তাদের একজন পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে। মূল খুনি পালিয়ে যেতে পারলেও তার সহযোগী মাসুদ রানাকে একটি ক্যামেরাসহ আটক করে পুলিশ সদস্যরা।

দারুসসালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, পর্বত সিনেমা হলের সামনে ডিউটি করছিলেন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। সেখানে কয়েক যুবককে তল্লাশি করার সময় দুই যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় অন্য পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দারুসসালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

দারুসসালাম থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর নবী জানান, ইব্রাহিমের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার তালপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম সাত্তার মোল্লা। দেড় বছর ধরে দারুসসালাম থানায় কর্মরত ছিলেন ইব্রাহিম। তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে দারুসসালামের ৪৮/৩ বর্ধবাড়ি এলাকার একটি বাসার পাঁচতলায় থাকতেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

৪ thoughts on “গাবতলীতে এএসআই হত্যা: খুনি শনাক্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *