২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে । মার্কিন বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
দেশটির পরমাণু কর্মসূচি যে হারে বাড়ছে, তাতে এ ঘটনা কিছুতেই অবাক করার মতো নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে দুই বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে।
ভারতীয় হামলা প্রতিহত করতে পাকিস্তানের স্বল্প পরিসরে পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার বিষয়টি ইসলামাবাদের স্বীকার করার পরদিনই ওই দুই বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলো। এটি তৈরি করেছেন মার্কিন সাইন্টিস্ট ফেডারেশনের পারমাণবিক তথ্য প্রকল্পের পরিচালক হ্যানস এম ক্রিস্টেনসেন ও ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন ফেলো রবার্ট এস নরিস।
‘পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি-২০১৫’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে ১১০ থেকে ১৩০টি। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ থেকে ১১০-এ। যে হারে পাকিস্তানের অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশটি ২২০ থেকে ২৫০টি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হবে।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চারটি প্লুটোনিয়াম ও ইউরেনিয়াম রিয়েক্টর উৎপাদনে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি আগামী এক দশকে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে কতদূর যাবে, তা নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর বলে মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে পরমাণু-উৎক্ষেপক প্রস্তুতে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও ভারতের পরমাণু অস্ত্র মজুতের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করছে। পাকিস্তান এক্ষেত্রে অবশ্য খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়টাতেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হল। আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে নওয়াজের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এ সাক্ষাতে নওয়াজ স্বল্প পরিসরে পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোনো সীমাবদ্ধতা চায় না বলে ওবামাকে জানাবেন, জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান বর্তমানে ছয় ধরনের পারমাণবিক ব্যালাস্টিক মিসাইলের অধিকারী। এগুলোর মধ্যে অন্তত দু’টো তৈরির কাজ চলছে। বাকিগুলোর মধ্যে স্বল্প-পাল্লার শাহীন-১এ ও মধ্যম-পাল্লার শাহীন-থ্রি উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান দু’টি ক্রুজ মিসাইলও তৈরি করছে। এগুলো হলো, ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য বাবর (হাতফ-৭) ও আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য রা’আদ (হাতফ-৮)। যেগুলো তৈরির কাজ চলছে, এর মধ্যে অন্তত একটিকে সাবমেরিনে ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
Md Askan liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Junayed Newas liked this on Facebook.
Arif Ahmed liked this on Facebook.
Laltu Hossain liked this on Facebook.
Idris Mazi liked this on Facebook.
Sk Bilal liked this on Facebook.
হাজী মাছুম বিল্লাহ্ liked this on Facebook.
Rajib Khan liked this on Facebook.
Kabir Hossain liked this on Facebook.
Jahangir Kabir liked this on Facebook.
Md Alamgir Hossain liked this on Facebook.