বুদ্ধিমান নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করতে পছন্দ করেন পুরুষ। কিন্তু কোনো নারী তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হবেন, সেটা মেনে নিতে পারেন না বেশির ভাগ পুরুষ। কিংবা বলতে পারেন বেশ ভয়ও পেয়ে যান পুরুষ।
পুরুষ আসলে নারীর মধ্যে কী খোঁজেন? এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। এমন একটি গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব বাফালো, ক্যালিফোর্নিয়ার লুথেরান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের একদল গবেষক। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে আগামী নভেম্বর মাসে ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি বুলেটিনে’।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই গবেষণার কিছু অংশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট। সেখানে বলা হয়েছে, বুদ্ধিমতী নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর চিন্তা শেষ পর্যন্ত পুরুষের ভয়ের কারণে পর্যবসিত হয়।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রথম ১০৫ জন পুরুষকে বলা হয় যে এমন একটি দৃশ্য কল্পনা করতে, যেখানে একজন নারী গণিত বা ইংরেজি শাস্ত্রে তাঁদের চেয়ে ভালো বা তাঁদের চেয়ে খারাপ। এরপর সেই নারীদের প্রেমিকা হিসেবে কল্পনা করতে বলা হলো।
পুরুষরা সেই নারীকে প্রেমিকা হিসেবে বেশি আকাঙ্ক্ষা করলেন যেই নারী গণিত বা ইংরেজিতে তাঁদের ছাপিয়ে গেছেন। গবেষণায় বলা হয়, দৃশ্যত যে নারীদের পুরুষরা নিজের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বলে মনে করেন তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি আগ্রহী থাকে পুরুষ।
গবেষণার দ্বিতীয় অংশে যখন ওই পুরুষদের বলা হলো বাস্তব জীবনে এই নারীদের মধ্যে কাকে বেশি আকাঙ্ক্ষা করবেন তাঁরা। এবার সত্যিকারের জীবনে ফিরে আসেন পুরুষরা। বুদ্ধিমতী নারীর কাছ থেকে দূরত্ব তৈরি করেন। তখন ওই নারীকে কম আকর্ষণীয় মনে হয় পুরুষের চোখে এবং ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা বা ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ কমতে থাকে পুরুষের।
তবে গবেষকরা বলছেন, পুরোপুরি কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগে এখনো আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তবে গবেষণার এই পর্যায়ে এটাই বোঝা যায় যে পুরুষত্ব খর্ব হতে পারে এমন বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কোনো নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ কেবল কমতেই থাকে।
পুরুষত্ব যে এত ভঙ্গুর হতে পারে কে জানত?
Nurul Islam liked this on Facebook.
Jahangir Kabir liked this on Facebook.