ফেসবুকের একটি ফটোতে চোখ আটকে গেলো। ছবিটি এখানে দেওয়া হলো সুন্দরগঞ্জে এমপি লিটনের পক্ষে দরিদ্র মানুষের মিছিল। আওয়ামীলীগের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন শিশু সৌরভকে গুলি করে। শিশু সৌরভ আহত হয়। মরেও যেতে পারতো। এই মামলাটি এটেম্পট ট্যু মার্ডার মামলা বা হত্যা প্রচেষ্টা মামলা। কারুকে গুলি করার অধিকার কারো নেই। কেউ আক্রান্ত হলে জীবন বাঁচানোর জন্য গুলি করতে পারে। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে কি শিশু সৌরভ আক্রমণ করেছিল ? মোটেই নয়। প্রশ্নই উঠেনা। সৌরভকে গুলি করে লিটন অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক নাটকের পরে লিটনকে পেয়ে যায় পুলিশ কিন্তু ছবিতে দেখা যাচ্ছে গাইবান্ধার দরিদ্র জনগণ লিটনের মুক্তির দাবীতে মিছিল করছে। বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন ও হত্যা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। একটি দরিদ্র শিশুকে গুলি করার পরে যে গুলি করেছে তাকে পুলিশে গ্রেফতার করেছে এবং অনেক দরিদ্র মানুষ সেই খুনীর মুক্তির দাবীতে মিছিল করছে – এটা ছিল আজকের কৌতুক। এভাবেই দরিদ্র মানুষের বেচাকেনা হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে যার টাকা আছে সে সবকিছুই ক্রয় করতে পারে।
বাংলাদেশের সরকার শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন প্রনয়ণ করেছে। এই শিশু আইন-২০১৩ তে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের এই আইন আওয়ামীলীগের কোন এমপি বা মন্ত্রী বা তাদের পরিবারের উপরে প্রযোজ্য হবে কিনা সেটা আইনের ধারাতে উল্লেখ করা হয় নাই। শিশুদের প্রতি আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলা, বর্জন, পরিত্যাগ, অশালীনতা প্রদর্শনের কারণে তাদের দুর্ভোগ, স্বাস্থ্য বা মানসিক ক্ষতি হলে আইনে তাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আইনটিতে ১০০টি ধারা রয়েছে এবং শিশুদের উন্নয়ন, বিকাশ, স্বার্থ, অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের কোন সদস্য কোন শিশুকে গুলি করলে সেই শিশু যদি বেঁচে যায় তাহলে তাকে পুনঃরায় গুলি করে মেরে ফেলে এই এমপিকে জনগনের দাবীতে মুক্ত করে দেওয়া হবে কিনা সেটা এই আইনে উল্লেখ করা হয় নাই।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিবাদ
Md Azizul liked this on Facebook.
Sajib Ahmed liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Jahangir Alom liked this on Facebook.
মানিক মিয়া liked this on Facebook.