একজন অপরাধী যখন অপরাধ করার পরিকল্পনা করে তখন সে এই অপরাধ থেকে বাঁচার পরিকল্পনাও করে। একজন অপরাধী যখন দলবদ্ধভাবে অপরাধ করে বা কারু নির্দেশে অপরাধ করে তখন যারা অপরাধ করার জন্য তাকে নিয়োগ করেছে তারা তাকে এই অপরাধ থেকে উদ্ধার করবে বলে ভরসা দেয়। অপরাধ যারা করায় তারা যদি সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি হয় তাহলে তো অপরাধীর কোন ভয় থাকেনা। অনেক সময় দেখা যায় সাজাপ্রাপ্ত খুনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজে ফিরে আসে। যে প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে সে খুন করেছিল তার প্রভাবেই সে কিছুদিন পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। একজন খুনী বা ধর্ষক বা ডাকাত বা চোর বা প্রতারকের অপরাধ কর্মের কি কোন পার্থক্য আছে? মূলত কোন পার্থক্য নেই। অপরাধ আর অপরাধ থাকেনা যখন সমাজের সর্বত্র এই অপরাধ চলতে থাকে আর এই অপরাধ সহ্য করার জন্য সমাজের সকলে তৈরি হয়ে যায়।
একজন খুনী্র কাজ মানুষ হত্যা করা। হত্যা হয়ে যাবার পরে এই মানুষটি ইহজগত ত্যাগ করলেও সে হয়তো পেছনে ফেলে যায় তার শোকাহত পরিবার পরিজন। যারা এই খুনীকে হয়তো ক্ষমা করে হয়তো ক্ষমা করেনা অথবা হয়তো কিছুই করার থাকেনা যখন খুনী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খুন হয়ে যাওয়া মানুষটির পরিবার যেখানে থাকে সেই এলাকাতে বা তাদের পাশের বাসাতে এসে বাস করে। তখন খুন হয়ে যাওয়া মানুষটির পরিবার হয়তো সেই এলাকা ত্যাগ করে এই খুনীর ভয়ে বা ঘৃনাতে বা পরিবারের অন্যান্য জীবিত সদস্যদের জীবন বাঁচাতে । সাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলাতে এখন অনেক খুনী বসবাস করে। খুনের নির্দেশদাতারা বসবাস করে। থানাগুলোতে খুনী। আদালতে খুনী। মিনিস্ট্রিগুলোতে খুনী। বাজারে খুনী। অফিসে খুনী। স্কুলে খুনী। কলেজে খুনী। বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনী। বাংলাদেশের সমাজ এখন খুনী পরিবেস্টিত। জন্মিলে মরিতে হবে। সে মৃত্যু হতে পারে রাস্তায় পিটিয়ে, বা পুলিশের গুলিতে বা গুন্ডাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গুতে, বা নিজের বিছানায় ঘুমের মাঝে। আইনের চোখে মানুষ হত্যা করা দন্ডনীয় অপরাধ । যদি আদালতের চোখ উপড়ে ফেলা হয় তাহলে অন্ধ আদালত এই খুন বা খুনীকে দেখতে না পাবার কারণে এই অপরাধ আর অপরাধ থাকেনা – জনকল্যান হয়ে যায়। খুনী আর একা নয় – জনগন খুনীর সাথে আছে।
একজন ধর্ষকের কাজ ধর্ষন করা। ধর্ষনের সংজ্ঞা হলো — ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সংগম করা। বাংলাদেশের আদালতে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোন আইন প্রনয়ন করা হয়ে থাকলেও বাংলাদেশের কোন থানাতে ধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে সচারচর কোন নারী বা তার পরিবার আসেনা। খুনীর মতই ধর্ষকের রয়েছে প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ। এখন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তার সন্তান সাড়া জাহানের মালিক সুতারাং সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তার সন্তানের চোখ যে নারীর উপরে যাবে সেই নারীই হবে তার ভোগের বস্তু। সেই নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছা বা বিচার পাবার কোন সম্ভাবনা বা অধিকার নেই। একজন নারী ধর্ষিতা হলেই সে সমাজে পতিত হয়ে যায়। একজন ধর্ষক হাজারবার ধর্ষন করলেও সমাজে প্রতিষ্টিত হতে পারে। পুরুষাঙ্গ কচুপাতার মত। সেখানে কোন কলংক লাগেনা। এই কলঙ্ক না লাগার কারণ শুধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নন যুগ যুগ ধরে বাঙ্গালী লেখক, সাহিত্যিক, ধর্মবিদেরা যারা নিজেরাও পুরুষ তারাই নারী ও পুরুষের মধ্য কিছু সামাজিক বিধান প্রতিষ্টিত করেছে তার মধ্য অন্যতম হলো যদি কোন পুরুষ নারীকে বলাৎকার করে তাহলে সেই পুরুষের কোন দোষ নাই। দোষ নারীর। সেজন্য ধর্ষিতা হবার পরে বেশীরভাগ নারী থানাতে রিপোর্ট না লিখিয়ে আত্মহত্যা করে ফ্যালে। নিজেরাই নিজেদের বিচার করে এবং বিচারে নিজেরাই নিজেদের শাস্তি দিয়ে দেয়। একজন ধর্ষক এক বা বহুবার বিবাহ করে এবং এক বা বহু সন্তানের জনক হয় । এইসব সন্তানের মধ্য অনেকে মেয়ে সন্তানেরও জনক হয়। বাংলাদেশের মাঠে, ঘাটে, ঘরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, থানাতে, সবখানেই ধর্ষন হতে পারে। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীরা দুই লাখ (মৌখিক পরিসংখ্যান) মাবোনকে ধর্ষন করার যে প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছে তা এখন সাড়া বাংলাদেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই পত্রিকাতে হাত পা বাঁধা ধর্ষিতা মেয়ের লাশের ছবি দেখা যায়। যেহেতু ধর্ষন করার পরেই ধর্ষকেরা দয়া করে ধর্ষিতাকে হত্যা করে তাই এইসব ধর্ষিতারা নিজেরা আত্মহত্যা করার কস্ট থেকে বেঁচে যায়। ধর্ষন একটি দন্ডনীয় অপরাধ। যেহেতু প্রভাবশালী ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ যেকোন গর্তে ঢোকার অধিকার রাখে তাই বাংলাদেশের আদালত ভীত এবং ধর্ষনকে একটি গ্রহনযোগ্য বিনোদন হিসাবে হজম করে ফেলেছে।
লিটন নামের এক বাংলাদেশী কারুকে ধর্ষন করে সেই বাসাতে ডাকাতি করে ধরা পড়ে, এবং তার অপরাধ স্বীকার করার পরে নানাবিধ তদবীরের ফলে সৌদী জল্লাদের হাতে তার দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করা থেকে নিস্তার পায় দশ বছর জেলের বিনিময়ে । একজন ধর্ষকের শিরোচ্ছেদ থেকে বাঁচাতে পেরে সৌদীতে বাংলাদেশী দূতাবাস গর্বিত। বাংলাদেশের ধর্ষকদের বাঁচাতে পেরে বাংলাদেশের প্রভাবশালী মহল সর্বদায় গর্বিত। এটা কোন নতুন কাহিনী না। খুন, ধর্ষন, দুর্নীতি, ডাকাতি, চুরি, এইসব নিয়েই বাংলাদেশ। এইসব কিছুই জনকল্যান এবং উন্নয়ন। এইসব কিছুই সভ্যতা ও প্রভু দেশগুলোর অনুকরণ।
দুর্নীতি কি অপরাধ? যে আইন তৈরি করেছে তার জন্য দুর্নীতি অপরাধ নয়। যে ব্যক্তি আইন প্রয়োগ করে সে দুর্নীতিও প্রতিষ্টিত করতে পারে। ঘুষ আদান প্রদান একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুষ না দিলে বাংলাদেশের কোথাও কোন কাজ হয়না। ঘুষের আদান প্রদান দন্ডনীয় অপরাধ। ন্যায় বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। তাই অন্যায়কেই সবাই মেনে নিয়েছে। পঞ্চাশ বছর আগে যারা দুর্নীতি করেছে তারা এখন প্রতিষ্টিত ব্যক্তিত্ব। চল্লিশ বছর আগে বা পরে যারা জন্মেছে তারা জানে অতীতে ঐসব ব্যক্তিরা জমিদার ছিল। আসলে তো লুটেরা ছিল। মানুষের সম্পদ লুট করে জমা করেছে। যাদের থেকে লুট করেছে সাক্ষ্য দেবার জন্য তারা কেউ নেই বা থাকলেও তাদের ক্ষমতা নেই এইসব লুটেরাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার। এই লুটেরা তাদের লুটের মালে এখন নিজেদের নাম লিখে দিয়েছে। লুটেরা যারা তারা আবার লুটের মাল থেকে কিছুটা খরচা করেছে সমাজ সেবার জন্য। স্কুল বানাতে বা হাসপাতাল বানাতে কিছু লুটের মাল ছেড়ে দিয়েছে ফলে তাদের অপরাধ এই দানের নিচে ঢাকা পড়ে গেছে। লুটেরা যখন লুট করে তখন এই লুট ঢাকার পরিকল্পনা করেই লুট করে। চোর যখন চুরি করে তখন সে এই চুরি থেকে বাচার পরিকল্পনা করেই চুরি পরিকল্পনা করে। একজন সফল অপরাধী সবসময়ই পরিকল্পনা করেই অপরাধ করে।
কোন অপরাধ বেশী ভাল?
খুন?
ধর্ষন?
দুর্নীতি
ডাকাতি?
লুট?
চুরি?
প্রতারণা?
মিথ্যাচার?
উপরেরে সব অপরাধই ভাল এবং বাংলাদেশের সমাজে গ্রহণযোগ্য ও বরনীয়। এইসব অপরাধ যারা করে বাংলাদেশে তাদেরকে সন্মান করা হয়। তাহলে বাংলাদেশের অন্ধ আদালত ও আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী করে কি? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে প্রতিদিনের বাংলাদেশী পত্রিকাগুলোতে । মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষা্র প্রশপত্র ফাঁস হলে ছাত্রছাত্রীরা শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ সভা করে । পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার দাবী করে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশে হামলা করে। আর এখানে উত্তর পাওয়া গেছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস করা অপরাধ?
প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেলে সেই ভর্তি পরীক্ষা বাতিল না করা অপরাধ?
নাকি
এইসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা অপরাধ?
প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাবার পরে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ দেখে বিলাত থেকে ফিরে আসা প্রতারকেরা মুচকি হেসেছে। বিলাতের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট বিক্রি হয়। লেভেল ৩-৪-৫-৬-৭ সব কিছুই স্টার্লিং পাউন্ডের বিনিময়ে খরিদ করে অনেক ছাত্রই বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। ইংল্যান্ডের কিছু কলেজের নাম নিচে দেওয়া হলো যারা নাম কা ওয়াস্তা ছাত্রভর্তি করেছিল এবং ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট বিক্রি করে ফলে পরে এই কলেজগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয় (বাংলাদেশে যেসব ছেলেরা বিলাতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়া পড়তে গেছিল তারা বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে বৃটিশ পাউন্ড মেরেছে এবং সেখান থেকে কিছু পাউন্ড খরচা করে এইসব কলেজ থেকে সার্টিফিকেট কিনে দেশে ফিরে এসেছে। তাদের ভেতর একজনের ফটো দেওয়া হলো) ঃ
KNOWN SUSPENDED Tier 4 Sponsors as of 28th JUNE 2015
Aldgate College
Bucks New University (suspended 9th March 2015)
Essex College of Management and IT Ltd
London College of Business Management and Information Technology
London School of Business and Accountancy
London School of Law
Middlesex College of Law Ltd
Oxford College of London
St. Patrick’s International College (suspended 19th Feb 2015)
Sharp Development Solutions Ltd – Trading As SDS College London
The City College
University Tutorial College
Westminster Academy
14 Stars (London) Ltd – Trading As European College for Higher Education – Revoked
Alpha College – Revoked
Alpha Meridian College – Revoked
Apex College – (revoked FEB 2015)
APS Computer Solutions Ltd Trading As Pitman Training Centre Peterborough – Revoked
Barking & Dagenham College (revoked)
Birmingham Informatics College Ltd – Revoked
Birmingham Institute of Education Training and Technology – Revoked
Blake Hall College – Revoked
Bradford College of Management – Surrendered
Bradford Metropolitan College – Revoked
Bradford Regional College – Revoked
British Institute of Technology & E-Commerce
Bristol College of Accountancy – Revoked
Britain College – Surrendered
CAHRO Academy Ltd – Revoked
Central College London (a division of Huawen Institute) – Revoked
Central College of Studies (CCS) – Revoked
Central Cranbrook College – Revoked
Citizen 2000 Education Institute – Revoked
City College Nottingham – Revoked
City of London Academy – Revoked
College of Advanced Studies – Revoked
College of East London – Revoked
College of Excellence Limited – Revoked
Cranford College – (revoked 1st May 2015)
Docklands Academy – (revoked March 2015)
Docklands College – Revoked
East End Computing & Business College -( revoked MARCH 2015)
Empress College – Surrendered
Essex College Ltd – Revoked
Eynsford College – Revoked
Forbes Graduate School – Revoked
Futures College – ( revoked FEB 2015)
Finance & Technology Institute of London (Study Solutions Ltd)- revoked MAY 2015
Grafton College – surrendered March 2015
Global Vision College-revoked
Hammersmith Management College – Revoked
Helios International College – Revoked
Hendon Business School (revoked)
IIM Bedford – Revoked
Interlink College of Technology and Business Studies – Revoked
Katherine and King’s College of London – Revoked
Kent College of Business & Computing (revoked Sept 2014)
Kinnaird College – Revoked
Leyton College- revoked
LIT LON Ltd – Revoked
London Academy of Management and Business (LAMB) – Surrendered
London Churchill College – Surrendered
London College of Advanced Management ( revoked JAN 2015)
London College of Finance and Accounting – Revoked
London College of Business Management and Computing Studies -Surrendered
London Corporate College – Revoked
London Educators Limited – Revoked
London Empire Academy – Surrendered
London Metropolitan College – Revoked
London Premier College Limited – Revoked
London Regal College – Revoked
London School of Commerce & IT – revoked
London Academy of Management Sciences – revoked
London School of Advanced Studies – Revoked
London School of Commerce & IT (revoked)
London School of Marketing – Trading As LS Business School – Revoked
London School of Technology – Revoked
London St. Andrew’s College – Revoked
Manchester College of Management Sciences Limited – Revoked
Manchester International College – Revoked
Manchester Trinity College Limited – Revoked
Metro College of Management Sciences – ( revoked MARCH 2015)
Midlands Academy of Business and Technology – Revoked
Meridan Business School – (revoked MAY 2015)
North West College Reading – Revoked
Newcastle Academy of Business and Technology – (revoked JAN 2015)
Opal College (revoked FEB 2015)
Pharez UK Ltd Trading As Pharez College – Revoked
Pinnacle College – (revoked Feb 2015)
Queensbury College – Revoked
Radcliffe College – Revoked
Sanjari International College – Revoked
Shakespeare College – Revoked
Stanfords College UK Limited – Revoked
South London College – Revoked
Superior College London – Revoked
Swarthmore College – revoked
Thames College Berkshire – revoked
Unipro College London – (revoked JAN 2015)
UK College of Business & Computing-UKCBC Ilford (JUNE 2015)
UK Business College – (revoked 24 Feb 2015)
UK Education Professional – revoked 28 Oct 2013
UK Business Academy – Revoked
UK Vocational Training College -Trading As UK College of Arts and Technology- Revoked
Vernon Community College – Revoked
Vista Business College – revoked 2013
West George College – Revoked
West London Business College Ltd – Revoked
West London College of Business & Management Sciences (Manchester) – Revoked
West Link College – revoked May 2014
Zaskin College (revoked March 2013)
Junayed Newas liked this on Facebook.
Jahangir Alom liked this on Facebook.
এম.জি আজম liked this on Facebook.
Jahangir Kabir liked this on Facebook.