সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আজ শনিবার বেলা দেড়টায় প্রধানমন্ত্রী বিমান থেকে নামবেন। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানাবেন দল ও জোটের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। এর জন্য আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী সংগঠন, ১৪ দল ও নানা পেশাজীবী সংগঠন গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টানা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে গণসংবর্ধনা।
জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের দেওয়া ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মসূচিতে আগত ব্যক্তিদের মিছিল, সড়কের পাশে অবস্থান এবং প্রধানমন্ত্রীর চলার পথে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে আজ রাজধানী ঢাকায় যানজট-গণপরিবহন-সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী সাউথ সাউথ পুরস্কার পাওয়ার পর একইভাবে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই সময়ও ব্যাপক যানজট ও গণপরিবহন-সংকট হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে নামার আগ থেকেই বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বহর যাত্রা শুরু করলে পর্যায়ক্রমে গুলশান, বনানী, বাড্ডা ও সাতরাস্তা থেকে যে সড়কগুলো বিমানবন্দর সড়কে মিশেছে সেগুলোও বন্ধ রাখা হবে। এরপর বন্ধ হবে বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি এবং মিরপুর রোডের যান চলাচলও।
সূত্র আরও জানায়, বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ হলে ডাইভারশন বা বিকল্প পথে যান চালানোর সুযোগ থাকে না। বিশেষ করে বিমানবন্দর সড়ক ধরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গের পথের দূরপাল্লার বাসগুলো আটকা পড়ে। ঈদ-পরবর্তী ঢাকামুখী মানুষের স্রোত এতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসীরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিদের পথ চলার সময় যে যে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়, এবারও তাই হবে। তবে সংবর্ধনার কারণে যে জনসমাগম হবে, এর জন্য বাড়তি নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে চলে যাওয়ার পর পুনরায় সব স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির পর আজ বেলা দেড়টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে তৃণমূল কর্মীরা ১১টার মধ্যেই রাস্তায় অবস্থান নেবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে পেশাজীবীদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে। ১৪ দলের শরিক ছাড়াও প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি কর্মী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, নারী সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ভেতরে আওয়ামী লীগের অল্প কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্টজনেরা। এ সময় বাইরে সড়কের দুই পাশে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডসহ হাতে দাঁড়াবেন নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভিবাদন জানাবেন। সংবর্ধনা কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ১৪ দলের শরিক দলের শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় সাংসদদের নেতৃত্ব আট দল গঠন করা হয়েছে। এসব নেতা ভাগ ভাগ হয়ে আট স্থানে অবস্থান নেবেন।
ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আগামী সোমবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সমবর্ধনা একটু থেমেই দেয়া উচিৎ নয় কি ? যে পরিমাণ পচা ডিম আর জুতা খেয়েছেন ৷পেট তো পেট,মনও ভরপুর ৷
তাই বলছিলাম আর কি !!
Rezina Akhter liked this on Facebook.
Md Alamin liked this on Facebook.
Jahangir Alom liked this on Facebook.
Moin Jcd Rampal liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Md Mamun liked this on Facebook.